ঈদের আগে চিনির দাম কেজিতে বাড়ল ২৫ টাকা

| মঙ্গলবার , ২০ জুন, ২০২৩ at ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

কোরবানির ঈদের আগে ২২ জুন থেকে চিনির দাম কেজিতে সার্বোচ্চ ২৫ টাকা করে বাড়ানোর কথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে মিল মালিকরা। গতকাল সোমবার শুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাণিজ্য সচিব বরাবর ওই চিঠি পাঠানো হয়। বর্তমানে প্রতিকেজি খোলা চিনি ১২০ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ১২৫ টাকা নির্ধারিত আছে। তবে সরকার নির্ধারিত এই দাম ব্যবসায়ীরা মানছেন না। বাজারে প্রতিকেজি চিনি ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে। নতুন প্রস্তাবে আগামী ২২ জুন থেকে প্রতিকেজি খোলা চিনি ১৪০ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ১৫০ টাকা নির্ধারণের কথা জানানো হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, ভোজ্যতেল, চিনিসহ আরও কয়েকটি আমদানি পণ্যের দাম বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে নির্ধারণ করে সরকার। খবর বিডিনিউজের।

দামের অস্থিরতার মধ্যে ব্যবসায়ীরা সমপ্রতি সরকারের দ্বারস্থ হয়ে দাম বৃদ্ধির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এখন নিজেদের সিদ্ধান্তেই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বাণিজ্য সচিবের বরাবর পাঠানো চিঠির ভাষ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি করতে গিয়ে ‘লোকসানের মুখে পড়ছে’ কোম্পানিগুলো।

গত ৬ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছিল মিল মালিকরা। সে অনুযায়ী ২২ জুন থেকে চিনির দাম নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশে সিটি গ্রুপ, দেশবন্ধু গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, আব্দুল মোনেম গ্রুপ ও টিকে গ্রুপ তেল ও চিনি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির কাঁচামালের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রকম শুল্ক সুবিধা তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন বাজার থেকে এক কেজি চিনি কিনে খেতে গেলে ভোক্তাকে ৪২ টাকা শুল্ক দিতে হচ্ছে।

আমরা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে প্রতি টন চিনির কাঁচামাল ৬৪০ ডলারে সংগ্রহ করেছি, আজকের রেট ৬৭০ ডলার। সরকার প্রতি টন ৫৮০ ডলার বিবেচনায় সর্বশেষ চিনির দাম ঠিক করেছিল। চিঠির বিষয়ে কথা বলতে শুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব গোলাম রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষও ফোন ধরেননি।

তবে সমপ্রতি মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে দেশের বাজারে চিনির উচ্চমূল্যের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে দামের অস্থিরতা ও মূল্যবৃদ্ধিকেই দায়ী করেন সচিব। তিনি সেদিন বলেন, চিনির প্রধান উৎস ব্রাজিল ও ভারত। তবে এই মুহূর্তে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ। আন্তর্জাতিকভাবে চিনির একটা সংকট যাচ্ছে। চিনির দাম প্রতি টন ৪৫০ ডলার থেকে বেড়ে গিয়ে প্রায় ৭০০ ডলারে ঠেকেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম যখন বেশি অস্থিতিশীল থাকে তখন দেশের বাজারে দাম স্থিতিশীল করাটা খুবই টাফ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্কুল ভবনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার গরুর হাট!
পরবর্তী নিবন্ধস্থায়ী-অস্থায়ী ২২২ হাটে আজ শুরু হচ্ছে পশু বেচাকেনা