ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের ৮টি পয়েন্টে ঈদযাত্রায় যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিবছর ঈদে প্রশাসন যানজট নিরসনের ঘোষণা দেয়। কিন্তু মহাসড়ক দখল করে কন্টেনার ডিপোগুলোর দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। ইতিমধ্যে সোনাইছড়িতে স্থানীয়রা যানজটের প্রতিকার চেয়ে মহাসড়কে মানববন্ধন করেছে।
হাইওয়ে পুলিশ জানান, সীতাকুণ্ডের বড় বড় কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কন্টেনার ডিপোর মালামাল বহনকারী গাড়িগুলো মহাসড়ক দখল করে থাকার কারণে ঈদযাত্রায় যানজট পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। এছাড়া উপজেলার বড়দারোগার হাটের ওজন স্কেল, রয়েল সিমেন্ট গেট, বাড়বকুণ্ড বাজার থেকে মান্দারীটোলা রাস্তার মাথা পর্যন্ত, সীতাকুণ্ড পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ডের সড়কে বাস থামিয়ে যাত্রী তোলাসহ ৮টি পয়েন্টের কারণে যানজট পরিস্থিতির অবনতি হত্তয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
পথচারী ও সাধারণ মানুষরা জানান, মহাসড়কের এ অংশে সড়কের পাশ দখল করে রাখা অধিকাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ও তিনটি কন্টেনার ডিপোর মালবাহী ট্রাক, লরির মহাসড়ক দখল করে এলোমেলোভাবে দাঁড়িয়ে থাকা, ট্রাফিক আইন অমান্য করে যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা, সড়কের পাশ দখল করে অবৈধভাবে দোকানপাট গড়ে তোলা, অবৈধ স্ট্যান্ড, পুলিশের চাঁদাবাজি, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, লেগুনা ও ব্যাটারিচালিত রিঙার কারণে দূরপাল্লার গাড়ির গতি কমে যাওয়ার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যা আসন্ন ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহন বাড়লে আরও প্রকট আকার ধারণ করবে। চালকরা জানান, ঈদের আগে মহাসড়ক দখল করে থাকা শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কন্টেনার ডিপোর গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে না নিলে ঈদে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজি নাজমুল হক বলেন, যানজট নিরসণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদের তিন দিন আগে থেকে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক চলতে পারবে। তিনি আরও জানান, প্রতিবছর ঈদে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কয়েকগুণ বেড়ে যায়। যার ফলে ওভারটেকিং প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে নিয়ম ভাঙ্গেন চালকরা। ফলে সৃষ্টি হয় যানজট।
