ইলিয়াছ ব্রাদার্সের চেয়ারম্যান এমডিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তারে সিএমপি কমিশনারকে নির্দেশ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৩ মে, ২০২২ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের শিল্প প্রতিষ্ঠান ইলিয়াছ ব্রাদার্সের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে জারিকৃত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওয়ান ব্যাংক, খাতুনগঞ্জ শাখার একটি জারি মামলার শুনানি শেষে চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ নির্দেশ দেন।

নির্দেশনায় আদালত বলেছেন, ‘ইলিয়াছ ব্রাদার্সের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে ২০ টির মতো মামলা বিভিন্ন পর্যায়ে বিচারাধীন রয়েছে। খেলাপী হয়ে পড়া ঋণ আদায়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নানা সময়ে মামলাগুলো দায়ের করে। এ সব মামলায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকা। পর্যাপ্ত জামানত না থাকায় আসামিদের গ্রেপ্তার ছাড়া উক্ত খেলাপী ঋণ আদায় সম্ভব নয়। এমন অবস্থায় ওয়ান ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকের দায়ের করা জারি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও দীর্ঘদিন ধরে উক্ত পরোয়ানা সমূহ নগরীর চান্দগাঁও এবং কোতোয়ালী থানা পুলিশ তামিল না করে ধরে রেখেছে। এতে পুলিশি কার্যক্রমের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।’ আদালত নির্দেশনায় আরো বলেছেন, ‘শীর্ষ ঋণ খেলাপীরা গ্রেপ্তার এড়াতে সক্ষম হওয়ায় ব্যাংকিং খাতের বিপুল পরিমাণ খেলাপী ঋণ অনাদায়ী হয়ে পড়েছে এবং আদালতে মামলার জট সৃষ্টি হয়েছে।’

এ বিষয়ে অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রেজাউল করিম আজাদীকে বলেন, ‘খেলাপী হয়ে পড়া ৩৫ কোটি ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৩৯৮ টাকা (সুদসহ বর্তমানে তা ৬১ কোটি ৯৭ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৬ টাকায় পরিণত হয়েছে) আদায়ে ওয়ান ব্যাংক, খাতুগঞ্জ শাখা ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ইলিয়াছ ব্রাদার্সের
চেয়ারম্যান ও এমডিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। তারা হলেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শামসুল ইসলাম, চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, পরিচালক মো. নুরুল আলম, কামরুন নাহার বেগম ও তাহমিনা বেগম।

সম্প্রতি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি চেয়ে একটি আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে আজকে (গতকাল) শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫ মাসের সাজা দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।’ তিনি বলেন, ওয়ান ব্যাংক ছাড়া আরো কয়েকটি ব্যাংকের দাযের করা জারি মামলায় এ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। এ সব পরোয়ানা সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে তামিল না করে ধরে রেখেছে। এমন পরিস্থিতিতে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করতে সিএমপি কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘মাঙ্কিপক্স’ নিয়ে দেশের সব বন্দরে সতর্কতা
পরবর্তী নিবন্ধ২৩ বছর আগের মামলায় একজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড