বন্দরের প্রধান ডাকঘর থেকে ফরেন পার্সেলের মাধ্যমে ইউরোপীয় দেশ ইতালি থেকে ২টি ৮ এমএম পিস্তল, ২টি পিস্তল সদৃশ খেলনা পিস্তল এবং ৬০টি কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজুমদার কামরুল হাসানকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার(২২ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মজুমদার কামরুল হাসানের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। তারও আগে গতকাল সোমবার হালিশহরের শশুরবাড়ি থেকে মজুমদার কামরুল হাসানকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
নগর পুলিশের এডিসি (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মজুমদার কামরুল হাসান নগরীর আগ্রাবাদের সিজিএস কলোনির বাসিন্দা ও চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এর কর্মচারী।
ইতালির রোম থেকে রাজিব বড়ুয়া নামের একজন মজুমদার কামরুল হাসানের কাছে এসব অবৈধ অস্ত্র ও কার্তুজ পাঠিয়েছেন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি গৃহস্থালি পণ্যের ঘোষণা দিয়ে নিয়ে আসা দু’টি ৮ এমএম বিদেশী পিস্তল, দু’টি খেলনা সদৃশ পিস্তল ও ৬০টি কার্তুজসহ ফরেন পার্সেলটি উদ্ধার করেন কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার জোসনা আক্তার।
পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ফরেন পার্সেলটি কায়িক পরীক্ষা করা হয়। পরদিন ২১ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনায় কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মজুমদার কামরুল হাসান ও রাজিব বড়ুয়াকে আসামি করে কাস্টমস আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অস্ত্র আইনে বন্দর থানায় একটি মামলা করেন।