১০ ডিসেম্বর ফেনী হানাদার মুক্ত হয়। ১২ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর ১১ রেজিমেন্ট শুভপুর ব্রিজ পার হয়ে মোস্তাননগর পৌঁছে। ১৩ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ডের আংশিক শত্রু মুক্ত হয়। সীতাকুণ্ডে ধাওয়া খেয়ে পাক সৈন্যরা কুমিরায় শেষ ডিফেন্সটি স্থাপন করে। তখন স্বাধীনতাকামীদের হাতে বেশ কয়েকজন পাক সৈন্য ধরা পড়ে। দুই সিভিলিয়ান বাঙালি মিত্র বাহিনীর হাতে প্রাণ হারায়। তারা পূর্ব আমিরাবাদ এলাকার গুরামিয়া সওদাগরের বাড়ির আমিরুজ্জামার ছেলে মদিন উল্যা (২৪) ও দক্ষিণ মহাদেবপুরের হাসানগোমস্তা মসজিদ এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে নূরুজ্জামা (৬০)। আহত হয় নিহত নূরুজ্জামার ছেলে জহুরুল হক। এ যুবকের পায়ে গুলি বিঁধে।
রেলওয়ের ডেবার পাড়ের পাকদের যে শক্ত ডিফেন্স ছিল সেটিও ধ্বংস হয়। কয়েকজন পাক সৈন্যের লাশ ডেবার পাড়ের উত্তর পূর্বপাড়ে পড়ে থাকে। অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর ভোরে পাকসৈন্যদের গালফ্রা হাবিব লি.-এর সর্বশেষ ক্যাম্পটি পতন হয়।
১৩ ডিসেম্বর দুপুর ১টা। সীতাকুণ্ড হতে ৪ কি.মি. দক্ষিণে বাঁশবাড়িয়া এলাকায় মিত্রবাহিনী ও মুক্তিফৌজ সাময়িক যাত্রাবিরতি করে। মিত্রবাহিনী চূড়ান্ত লড়াইয়ে যাওয়ার আগে বাঁশবাড়িয়াস্থ মুক্তি সংগঠক ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট আজিজুল হক চৌধুরীর বাড়িতে এক বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠকে মিত্রবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনন্দ স্বরূপ, মুক্তি সম্মুখযোদ্ধা ক্যাপ্টেন মাহফুজ, মুক্তি ক্যাপ্টেন জাফর ইমাম ও মুক্তি আঞ্চলিক ও থানা কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত হন।
রণকৌশল: মিত্র বাহিনী চার ভাগে ভাগ হয়ে অগ্রসর হবে। একটি গ্রুপ পাহাড় ঘেঁষে, দ্বিতীয় গ্রুপ রেললাইন হয়ে, তৃতীয় গ্রুপ ট্রাঙ্করোড পথে, চতুর্থ ফৌজ সমুদ্রের বেড়িবাঁধ দিয়ে সমানে দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হবে। শুধু মিত্রবাহিনী ও মুক্তিদের নিয়মিত ফৌজ অগ্রবর্তী হবে। গেরিলা ফৌজের কমান্ডার তাদের ফৌজকে বাঁশবাড়িয়া এলাকায় অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দেন।
১৪ ডিসেস্বর ভোর ৫টা। মিত্রবাহিনীর রেজিমেন্ট কুমিরার দিকে অগ্রসর হয়। তখনও সম্মুখযোদ্ধা নায়েক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বুঝতে পারেননি পাক ফৌজের এ ভয়াবহতা। এর মধ্যে মিত্রবাহিনীর ৩১নং জাঠ রেজিমেন্টের সাথে আরো ৩টি শক্তিশালী রেজিমেন্ট একত্রিত হয়। কিন্তু সমানে প্রচণ্ড বাধা আসতে থাকে।
দুপুর ১২টা। কুমিরা শত্রু ঘাঁটির ওপর মিত্র বাহিনী ও মুক্তিরা প্রচণ্ডভাবে বোমা হামলা শুরু করে। উভয়পক্ষের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলা চলছে। মিত্রবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনন্দ স্বরূপের তরফ থেকে ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নিকট নির্দেশ আসে-১০ম ইস্ট বেঙ্গলের ‘সি’ কোম্পানি ও মিত্রবাহিনীর দলকে রেখে কুমিরা পাহাড় হয়ে হাটহাজারী অভিমুখে রওনা দেয়ার। ক্যাপ্টেন জাফর ইমাম সন্ধ্যার দিকে ১০ম ইস্টবেঙ্গল নিয়ে যাত্রা শুরু করতে মনস্থির করেন। ১৫ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছে তাঁদের কোম্পানী।
১৫ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা। মিত্রবাহিনী ট্রাকযোগে আরো ১২টি মরদেহ নিয়ে যায় চন্দ্রনাথ ধামে। এর মধ্যে পাকবাহিনীর অপর একটি ফৌজ কুমিরার সর্বশেষ ডিফেন্স ছেড়ে দক্ষিণে বারআউলিয়া এলাকায় পিছু হটে। পাক ফৌজ কোর্টপাড়া হাজি এলাহী বঙের বাড়ি থেকে ডিফেন্স প্রত্যাহার করার প্রাক্কালে দুই সহোদর খলিলুর রহমান ও আমিনুর রহমানকে বেয়নেট খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। তারা কুমিরার কোর্ট পাড়ার আনোয়ার আলীর এক ছেলেকেও হত্যা করে।
১৫ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টা। হাটহাজারীর প্রায় ৩-৪ মাইল দূরে ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের সঙ্গে ৪র্থ ইস্টবেঙ্গল মিলিত হয়। ক্যাপ্টেন গাফ্ফারের অধীনে ৪র্থ ইস্টবেঙ্গলের দলটি চট্টগ্রাম-রাঙামাটি রোডে হাটহাজারী অভিমুখে রওনা দেয়। মিত্রবাহিনীর কমান্ডার কুমিরা পাকঘাঁটির উপর ত্রিমুখী আক্রমণ করার পরিকল্পনা নেন।
বাতাসে উড়ছে ঘাতকদের মরণঘাতি মর্টারসেল ও কামানের গোলা। আগুনের ফুলকিসহ বারুদের ঝাঁঝালো গন্ধ। কুমিরার পাকঘাঁটি থেকে ঘোড়ামরাস্থ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মামুন মাস্টারদের নতুন বাড়ি লক্ষ্য করে মর্টারসেল ছুঁড়ে। বিস্ফোরিত মর্টারসেলের স্প্রিন্টার গিয়ে জাকারিয়া কাজল নামের ১০ বছরের এক শিশুর শরীরে বিঁধে। শিশুটি মৃত্যুবরণ করে। মাস্টার এমএ মামুনের ছোটোভাই ডা. আবদুল্লাহ্ হিল কাফীর ডান হাতের বাহু, ডান পায়ের উরু ও কোমরে স্প্রিন্টার বিঁধে। ঘটনাটি ঘটে ১৫ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটা।
মুক্তি আলি আহম্মদের পরিবারেও নেমে আসে অবর্ণনীয় বেদনা। পাহাড়ের অরণ্যে আত্মরক্ষা করতে গিয়ে নিস্তার পেল না পরিবারটি। ঘটনায় আলি আহম্মদের বড়োভাই অলি আহাম্মদ, বড়োভাইয়ের স্ত্রী নুরুন নাহার এবং তাঁদের কন্যা আনোয়ারা বেগম ও আলী আহম্মদের বড়োবোন সখিনা খাতুনসহ ৪ জন মারা যান। বেঁচে যান আলি আহাম্মদের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও তাঁর কোলের শিশু নুরুল ইসলাম।
এদিকে বিকেল ৪টার মধ্যে মিত্রবাহিনীর আরো ২টি রেজিমেন্ট একত্রিত হল। মিত্রবাহিনীর রেজিমেন্ট ৪ ভাগে বিভক্ত হয়ে মার্চ করতে থাকে দক্ষিণদিকে।
রাত ১০-১১টার দিকে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামে আঁছড়ে পড়ে আরেকটি রকেট লাঞ্চার। ঘটনায় ফোরখ আহম্মদ চৌধুরীসহ পরিবারের ৫ সদস্য মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারান। তাঁরা হলেন ফোরখ আহম্মদ চৌধুরী, স্ত্রী কুলসুমা খাতুন, ছেলে সেলিম উদ্দিন চৌধুরী, মেয়ে সায়মা খাতুন চৌধুরী এবং নিহত ফোরখ আহম্মদ চৌধুরীর বৃদ্ধা মা সিরাজ খাতুন।
বেঁচে যায় ফোরখ আহম্মদ চৌধুরীর শিশুকন্যা শহরবানু এবং নিহত সায়মা খাতুন চৌধুরীর দেড় বছরের শিশুপুত্র দিদারুল আলম ও এক মেয়ে নুরবানু। ঘটনাস্থলে সায়মা খাতুনের নিথর দেহ পড়ে আছে। অবুঝ শিশু দিদারুল আলম অবলীলায় মায়ের বুকের দুগ্ধ পান করেই চলেছে!
১৬ ডিসেম্বর। ভোর ৬টা। শত্রুদের কুমিরা ডিফেন্সের ওপর পুনরায় আক্রমণ শুরু হলো। পাক বাহিনীর পক্ষ থেকে শক্তভাবে আক্রমণের প্রত্যুত্তর এলো। ওই অবস্থায় একযোগে নতুনপাড়া ক্যান্টনমেন্টের ওপর প্রচণ্ড চাপ দিতে থাকে মিত্রবাহিনী। মুক্তি লে. দিদারের অধীনে ১০ম বেঙ্গলের যে ‘সি’ কোম্পানি ছিল, তারাও সর্বশক্তি দিয়ে কুমিরার পাক ঘাঁটির ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যক্ষ্মা হাসপাতাল বরাবর পশ্চিমে নিউ রাজাপুর মন্দিরলাগোয়া পাকবাহিনীর সর্বশেষ বাঙ্কারে মর্টারসেল আঘাত হানে। মিত্রবাহিনীর নিখুঁত নিশানা। এক বাঙ্কারে পাক বাহিনীর ১০-১২ জওয়ান প্রাণ হারায়। কিন্তু কুমিরা টিবি হাসপাতালের পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত পাকদের একটি ডিফেন্স তখনো সক্রিয়। এক পাক সেনা আমেরিকার তৈরি মেশিনগান দিয়ে বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়ছিল। ক্যাপ্টেন এনাম এক গেরিলাকে নির্দেশ দেন, কুমিরার টিবি হাসপাতালের পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত শত্রুদের বাঙ্কারটি নির্ণয় করে ধ্বংস করতে। একটু পরে শুনতে পায় ওই সৈন্যের আর্তচিৎকার।
এর মধ্যে পাক সেনাদের হাতে ভাটিয়ারীর বিএম গেট এলাকায় সম্ভ্রম হারালো এক গৃহবধূ। ওই গৃহবধূর স্বামী সৈয়দুর রহমানসহ ৩ ব্যক্তি প্রাণ হারান ঘটনার স্থলে। অতঃপর আধ ঘণ্টা পর প্রিয় মাতৃভূমি হানাদারমুক্ত হয়।
এদিকে মিত্রবাহিনীর লেফটেনেন্ট হরগবিন্দ সিং তাঁর কোম্পানি নিয়ে কুমিরায় এসে পৌঁছেন। দুপুর ২টায় তাঁরা বারআউলিয়া এলাকায় অবস্থান নেন। মিত্রবাহিনীর ওই কোম্পানির সুবেদার আজিজ ও সম্মুখযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন (ওপি) অগ্রভাগে রয়েছেন। সুবেদার আজিজসহ তাদের কোম্পানি খুবই সতর্ক অবস্থায় এগিয়ে যাচ্ছে।
বিকেল ৪টা ২৭মিনিট। তাঁরা কাসেম জুটমিলের সামনে নিয়াজী পুকুরপাড়ে বাঙ্কার খনন করে পজিশন নেন। তখন ঢাকাসহ সারাদশে অনেকটা যুদ্ধ থেমে গেছে। পাকবাহিনীর শেষ অবস্থান মাদামবিবিরহাটস্থ ইছামতি খালের দক্ষিণপ্রান্তে। পালিয়ে যাওয়াকালে পাক সৈন্যরা ইছামতি খালের সেতুটি উড়িয়ে দেয়। আকাশে উড়ছে মিত্রবাহিনীর হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টার থেকেও আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট ছাড়া হয় লিফলেটে জানানো হয়। ‘আত্মসমর্পণ করতে সম্মত হয়েছেন পাক কমান্ডিং প্রধান মেজর জেনারেল নিয়াজী।’
রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ গ্রন্থে লেখেন – ১৬ ডিসেম্বর। বিকেল ৪০ টা ৩০ মিনিট। ঢাকাসহ সব জায়গায় যুদ্ধ থেমে গেছে। সুবেদার আজিজ তার কোম্পানি নিয়ে খুব সতর্কতার সাথে ফৌজদারহাটের ছোট খালটি অতিক্রম করছেন। ঠিক ঐ মুহূর্তে নিয়াজী আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করছেন ঢাকার রেসকোর্স মাঠে। আর পাকিস্তানিদের নিক্ষিপ্ত গোলা এসে পড়লে সুবেদার আজিজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কিছুক্ষণ পর ভাটিয়ারীর ধ্বংসপ্রাপ্ত ব্রিজটির দক্ষিণ দিক থেকে একজন পাকিস্তানি মেজর একটি সাদা পতাকা উড়িয়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে আসে খালের পাড় পর্যন্ত। মেজর রফিকুল ইসলাম এদিক থেকে এগিয়ে গেলেন। মাঝখানে মাদামবিবির সেই বিধ্বস্ত ব্রিজও বয়ে যাওয়া খাল। পাকিস্তানি ওই মেজর ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলামকে জানান, তারা নিয়াজীর কাছে থেকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ পেয়েছে এবং আত্মসমর্পণ করতে চায়।
তখন পশ্চিম আকাশে সূর্য ঢলে পড়ে। পাক ২৪ এফএফএর ‘বি’ কোম্পানির মেজর হাদীসহ একে একে পাকসেনারা আত্মসমর্পণ করে। দিনের শেষ সূর্যটাও পশ্চিমদিকে অস্তগামী হয়।
উৎসবমুখর পরিবেশে সারারাত মুক্তিযোদ্ধা ও স্বেচ্ছাসেবকরা মাদামবিবিহাটের ধ্বংসপ্রাপ্ত সেতুর পাশে বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করছিল। সেরাতে মুক্তিগেরিলা ও মিত্রবাহিনীর এক ব্যাটালিয়ন সৈন্য মাদামবিবিরহাটস্থ ইছামতিখাল পাড় হয়ে চট্টগ্রাম অভিমুখে রওনা দেন।
১৬ ডিসেম্বর। রাত ৮টা। মিত্রবাহিনীর অপর একটি গ্রুপ পাক আত্মসমর্পণের ময়দান মাদামবিবির হাট এলাকা অতিক্রম করছিল। তখন শীতলপুর ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন চিলকিল্লা পাহাড় থেকে পাকসৈন্যদের ছোঁড়া একটি কামানের গোলা আঁছড়ে পড়ে। ঘটনায় এক শিখ ক্যাপ্টেনসহ মিত্রবাহিনীর ৪ সেনা প্রাণ হারান।
১৭ ডিসেম্বর। সকাল ৬টা। মেজর রফিকুল ইসলাম লাঠি ভর দিয়ে খাল পাড় হলেন। অবশ্য তখনো পর্যন্ত ইছামতি খালের বিকল্প রাস্তার কাজ শেষ হয়নি। মেজর রফিকের হাতে ছোট একটি প্যাকেট। শহরের কিছু লোক তাঁকে গাড়িতে তুলে সোজা সার্কিট হাউজে নিয়ে আসেন। বাস এবং ট্রাকে করে পাকিস্তানি সেনারা দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছিল নেভাল বেইস এবং চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের দিকে। রাস্তার দু’ পাশে অসংখ্যলোক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। সার্কিট হাউজের সামনে অনেক লোক জড়ো হয়ে আছে। জনতার ভিড় ঠেলে মেজর রফিকুল ইসলাম সার্কিট হাউজের ভেতরে যান। তখনো সেখানে পাকিস্তানের পতাকা উড়ছিল। মেজর রফিকুল ইসলাম ছোট প্যাকেটটি খুললেন। এক সুন্দর মুহূর্তে বাংলাদেশের পতাকাটি এক কিশোরের হাতে তুলে দিলেন। পতাকাটি বুকে জড়িয়ে ধরে দৌড়ে উঠে গেল কিশোর। পাকিস্তানি পতাকা ছুঁড়ে ফেলে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে দেয়। আনন্দে বিশাল জনতা ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি তুলে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে তোলে।
লেখক- কবি, কলামিস্ট ও মুক্তিযোদ্ধবিষয়ক গবেষক ।