আয়োজকরা প্রস্তুত অনুমতি দেয়নি পুলিশ

জাদুঘরে সুমনের গান

| শুক্রবার , ১৪ অক্টোবর, ২০২২ at ৯:২১ পূর্বাহ্ণ

১৩ বছর পর কবীর সুমন ঢাকায় এলেও জাতীয় জাদুঘরে তার গানের অনুষ্ঠান নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। অনুষ্ঠানের আয়োজকরা বলছেন, তাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুষ্ঠানটি তাদের মিলনায়তনে হচ্ছে। তবে পুলিশ বলছে, ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা’ এলাকায় এই অনুষ্ঠানের অনুমতি তারা দেয়নি। খবর বিডিনিউজের।
আগামীকাল শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে গান গাইতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেই ঢাকায় পৌঁছান ভারতের বাংলা গানের জনপ্রিয় শিল্পী সুমন। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে আগামীকাল কবীর সুমন গাইবেন আধুনিক বাংলা গান, ১৮ অক্টোবর গাইবেন আধুনিক বাংলা খেয়াল এবং ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠানটি শেষ হবে আধুনিক বাংলা গান দিয়ে। তিন দিনের এই অনুষ্ঠানের টিকেট বিক্রি হয়েছে আগেই। বুধবার ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক প্রতিষ্ঠান পিপহোল বলেছিল, তাদের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। বিদেশি শিল্পীকে নিয়ে এই আয়োজনের সব অনুমতিই নেওয়া আছে। তবে গতকাল বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশে খবর নিয়ে জানা যায়, জাদুঘরে এই গানের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি তারা।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, জাতীয় যাদুঘর একটি কেপিআই। কেপিআইয়ের ভেতর জনসমাবেশ বা এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠান করার সুযোগ নেই। সুমনের গান নিয়ে শ্রোতাদের অতি আগ্রহকেই চাপ হিসেবে দেখছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। শফিকুল বলেন, শিল্পীদের অনেক ক্রেজ থাকে। উনারা যে পরিমাণ টিকেট বিক্রি করেছে, তার চেয়ে যদি অনেক বেশি লোক চলে আসে এবং ‘বাইচান্স’ ভাংচুর শুরু করে, তখন তো সমস্ত দোষ পুলিশের উপর এসে পড়বে। তখন প্রশ্ন আসবে- উনি কেনো কেপিআইয়ের ভেতর অনুমতি দিল। আয়োজকরা অন্য কোনো স্থানে অনুমতি চেয়েছি কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাদুঘর ছাড়া আর কোনো স্থানের জন্য অনুমতি চায়নি। তবে অন্য কোনো স্থানে আয়োজনের আবেদন করলে সেক্ষেত্রেও যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বলেন তিনি।
৩০ বছর আগে ‘তোমাকে চাই’ অ্যালবামের মাধ্যমে বাংলা গানের জগতে এক নতুন ধারার সূচনা হয়। সেই ধারারা পুরোধা সুমন ১৩ বছর পর ঢাকায় এসেছেন। ফলে বাংলাদেশে তার অগুনতি ভক্তদের মধ্যে তৈরি হয়েছে তুমুল আগ্রহ। কবীর সুমন শেষবার ঢাকায় এসেছিলেন ২০০৯ সালের অক্টোবরে। তখন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গান পরিবেশনে বাধা পেয়ে কলকাতায় ফিরেছিলেন। মধ্যে এক যুগ কেটে গেলেও আর ঢাকায় আসেননি তিনি। এক সাক্ষাৎকারে অভিমানের সুরে বলেছিলেন, বাংলাদেশে আর কখনও আসবেন না তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের ৫০ বছর
পরবর্তী নিবন্ধশুক্রবার সকালে গান শোনাবেন শাওন