আসামি মারা যাওয়ার এক যুগ পর অধিকতর তদন্তে দুদক

দুর্নীতি মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৪:৫০ পূর্বাহ্ণ

দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত আসামি মারা যাওয়ার এক যুগ পর অভিযোগ অধিকতর তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এমন কি এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নগরের সদরঘাট থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) চিঠি দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে মনগড়াভাবে দাম নির্ধারণ করে সরাসরি আবেদনে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে মুরাদপুর বাস টার্মিনালে যাত্রী ছাউনির ২৩টি দোকান বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর নগরের কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা হয়েছিল। দুদকের দায়ের করা ওই মামলায় অভিযোগটি আনা হয়েছিল তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ওই মামলার আসামি ছিলেন সদরঘাট থানার মোগলটুলি এলাকার খায়রুল আনোয়ার।
এর মধ্যে ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর মারা যান মহিউদ্দিন চৌধুরী। তারও আগে ২০০৮ সালে মারা যান খায়রুল আনোয়ার। এছাড়া যেসব যাত্রীছাউনি নিয়ে অভিযোগ সেগুলোও ওয়ান ইলেভেনের সময় উচ্ছেদ করা হয়। এ অবস্থায় মামলাটি নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। সম্প্রতি অধিকতর তদন্তে দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল ইসলামকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
এদিকে ৩ ডিসেম্বর সদরঘাট থানার ওসিকে একটি চিঠি দেন তদন্ত কর্মকর্তা। এতে তিনি ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে আসামি খায়রুল আনোয়ারের স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করে প্রতিবেদন পাঠানোর অনুরোধ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দরঘাট থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন আজাদীকে বলেন, খায়রুল আনোয়ার ২০০৮ সালে মারা গেছেন। সেটা উল্লেখ করে প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিয়েছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজলবায়ু পরিবর্তন প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জনে তাগাদা প্রধানমন্ত্রীর
পরবর্তী নিবন্ধবিচারক, সরকারি কর্মকর্তারাও রাজপথে