‘আশ্বাসের ৩০ বছর’ পর লিচুবাগান ফেরীঘাটে নির্মিত হচ্ছে সেতু

একনেকে অনুমোদন

কাপ্তাই প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২ মার্চ, ২০২৩ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

লিচুবাগান কর্ণফুলী নদীর উপর সেতু নির্মাণ করার জন্য একনেকের অনুমোদন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। গতকাল বুধবার তিনি বলেন, এখন টেন্ডার প্রক্রিয়া করার পর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈশিং লিচুবাগান ফেরীঘাটের উপর সেতু নির্মাণ করার জন্য বুধবার (গতকাল) প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং সেতু নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এরপরই প্রধানমন্ত্রী সেতু নির্মাণের অনুমোদন দেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈশিংকে ধন্যবাদ জানাই।

লিচুবাগান ফেরীঘাটে সেতু নির্মাণের খবর শোনার পর থেকে কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি জেলার সর্বস্তরের জনগণের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। এই খবরে এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।

জানা যায়, ৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৩ সালে লিচুবাগান ফেরীঘাটে সেতু নির্মাণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়। পরবর্তীতে লিচুবাগান ফেরীঘাটে সেতুটি নির্মিত না হয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলকে কর্ণফুলী নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে লিচুবাগান ফেরীঘাটে সেতু নির্মাণ করার জন্য আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়ার খবরে মানুষের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, লিচুবাগান ফেরীঘাটে সেতু না থাকায় লিচুবাগান এবং রাইখালীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হত। এখানে সেতু নির্মিত হলে মানুষের ভোগান্তি কমার পাশাপাশি তিন পার্বত্য জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হবে। পাশাপাশি কৃষি উন্নয়ন বাড়বে এবং মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।

পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র রাইখালীর প্রাক্তন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলতাফ হোসেন বলেন, লিচুবাগান ফেরীঘাটে সেতু নির্মিত হলে পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে গবেষণার কাজেও গতি আসবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধএক মালানের কাছে হার বাংলাদেশের