আশাকে প্রত্যাশায় রূপান্তর করা ভুল

টুম্পা ভট্টাচার্য | শনিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

আমরা প্রতিটা মুহূর্ত পার করি একটা সুন্দর মুহূর্তকে কাছে পাওয়ার আশায়। জীবনে আশা থাকে বলেই বেঁচে থাকার ইচ্ছে হয় সবার। ঘড়ির প্রাণ যেমন ব্যাটারি তেমনি জীবনে বাঁচার উৎসাহ আশা। তবে আমরা আশাকে প্রত্যাশায় রূপান্তর করে ভুল করি অনেকেই। যেটা আমাদের হতাশ আর নিরুৎসাহিত করে। আশা এবং প্রত্যাশা দুটো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। আমরা চাইলে আশার সীমানাকে অসীম করে নিতে পারি। কল্পনার আকাশে ডানা মেলে বিচরণ করতে পারি এই একটু আশা আমাদের বাঁচতে শেখায়। নিজের আস্থায় পরিকল্পিত আশাকে বাস্তবায়নে সংগ্রাম করতে হলেও সেটা সম্পূর্ণ নিজের আত্মবিশ্বাসের উপর নির্ভর করে। কিন্তু যদি সেই আশাটা যদি অন্যের উপর নির্ভর হয় তখন ঘটবে বিপত্তি। যখন সেটা পূরণ হয় না তখনই হই হতাশ। আবার সাধ্যের বাইরে দুরাশাও করতে নেই। তবে ভালো কিছু ভাবনা মনের টনিক। আশা সম্পূর্ণ নিজের উপর নিজের বিশ্বাসে সৃষ্টি। প্রত্যাশা হলো এক ধরনের বিনিময় অথবা অন্যের উপর চাহিদা থাকা। আমরা যখন আশা করি এবং বিনিময়ে ভাবি সেও আমার জন্য কিছু করবে তখন সেটা প্রত্যাশা। আর যখন পাই না তখন কষ্ট পেয়ে থাকি। অনেক সময় আমরা মানত করি এটাও এক ধরনের প্রত্যাশা। সৃষ্টিকর্তার সাথে চুক্তি করি আমার এই কাজটি হলে আমি এই জিনিসটা করবো যদি কোনো কারণে না হয় তখন মন খারাপ করি, হতাশ হই। এটা সঠিক ভাবনা নয়। ঈশ্বরের সাথে চুক্তি করা তো অজ্ঞতার পরিচয়। যিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর অসীম ক্ষমতা তাঁকে কেন এটা সেটার লোভ দেখাচ্ছি? তিনি আমাদের মনের কথা ঠিকই টের পান। এই বিশ্বাস থাকলে চুক্তির প্রয়োজন হয় না। এমনিতেই শান্তি অনুভব হয়। তাই বেঁচে থাকুক সুন্দর ভাবনায় সুন্দর আশা সবার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদ্রব্যমূল্য যেন এখন পাগলা ঘোড়া
পরবর্তী নিবন্ধহাসপাতাল চাই, তবে পরিবেশ বিপন্ন করে নয়