মানুষ আজ তার মনুষ্যত্ববোধ হারিয়ে অন্ধকারের দিকে পা বাড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমন একটি সময় ছিলো যখন মানুষ তার নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতো। তারা যে সৃষ্টির সেরা জীব তা তাদের কাজের মাধ্যমেই প্রকাশ পেতো। কিন্তু আকজাল মানুষের কাছ থেকে মনুষ্যত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের মাঝে অপসংস্কৃতি ঢুকে পড়েছে। বাঙ্গালির হাজার বছরের ঐতিহ্যমন্ডিত যে সংস্কৃতি তার চর্চা থেকে মানুষ দিন দিন দূরে সরে যাচ্ছে। তাই আজ সমাজের সর্বস্তরেই চলছে অপসংস্কৃতির দাপট। কোণঠাসা হয়ে পড়েছে প্রকৃত সংস্কৃতি ধারণ ও লালনকারীরা। অথচ এই সমাজকে সুন্দর ও আলোকিত করতে সংস্কৃতির বিষয়গুলো যে কত বড় ভূমিকা রাখতে পারে তা আমরা অনেকেই উপলব্ধি করতে পারছি না। সংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে আমরা আলোকিত সমাজ বিনির্মাণ করতে পারি।
গতকাল রোববার থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বংশী শিল্পকলা একাডেমি আয়োজনে বর্ষসমাপনী পরীক্ষা ২০২০ এর সনদপত্র, পুরস্কার বিতরণ ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দীপংকর দেবনাথের সভাপতিত্বে, সত্যজিৎ চৌধুরী ও জয় ঘোষ সঞ্চালিত আলোচনা পর্বে উদ্বোধক ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজ বিজ্ঞানী, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন আইএফএস। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির, বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মোছাম্মৎ মাহফুজা আক্তার ও রাজনীতিক-সংস্কৃতিসেবী দেবাশীষ আচার্য্য বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সংগঠক বাবু বিকাশ চৌধুরী বিপ্লব।
অন্যান্যদের মধ্যে বনফুল বড়ুয়া রাসেল, সত্যজিৎ বড়ুয়া, ভাস্কর বিশ্বাস, সঞ্জয় নাথ, রাজেশ বিশ্বাস, নয়ন দাশ, সুমন দাশ ও রোমেন চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা পূর্ব ও পরবর্তী সমবেত সংগীত, একক সংগীত, নৃত্য, তবলা লহড়া, গিটার ঝংকার ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতাসর ‘ভৈরবী’ পরিবেশন করে বংশী শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের সনদ ও ক্রেস্ট এবং গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।