আমার স্বদেশ আমার প্রাণ

রতন কুমার তুরী | রবিবার , ১৭ অক্টোবর, ২০২১ at ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ

বর্বর পাকিস্তানীদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করার পর প্রায় পাঁচ দশকেরও অধিক সময় পার হয়ে গেছে আমার প্রিয় স্বদেশটির। এখানেও এখনও পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা লুকিয়ে থাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে ভালোমানুষের লেবাস নিয়ে। মাঝে মাঝে এসমস্ত শকুনরাই দেশকে বিভিন্নভাবে অস্থির করে তাদের সরব উপস্থিতির জানান দেয়। তবে কী আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ‘সব জাতীর জন্য এদেশ’ এই শকুনদের দ্বারা ভূলুণ্ঠিত হতে চলেছে? তা না হলে এতো শক্তি এরা পায় কোথা থেকে? কীভাবে এরা অপপ্রচার ছড়িয়ে স্বাধীনতার এতো বছর পরও সনাতনিদের সর্ববৃহৎ উৎসবে প্রতিমা ভাঙচুর করে দেশকে একটি অরাজক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করে? এদের খুঁটির জোরইবা কোথায়? স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে বঙ্গবন্ধু যখন এই দেশটিকে একটি স্বপ্নের দেশে পরিনত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েএগিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনই এসমস্ত পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত একটি দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে গিয়ে দেশের স্বাধীনতাকেই কলঙ্কিত করেছিলেন। তাদের সাথে যুক্ত হয়েছিল এদেশের আরোকিছু রাজনৈতিক দল যারা বাংলাদেশকে কখনও স্বীকার করেনা এবং বর্তমানেও এরা পাকিস্তান বললেই তাদের বাপের দেশ বলে খুশিতে আটখানা হয়ে যায়। এসমস্ত পাকিস্তানপন্থীরা এখনও মনে করে বাংলাদেশের সনাতনিরা এদেশে বসবাস করার অধিকার নেই তাদের জন্যই তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সুবিধা করতে পারেনি কিংবা পাকিস্তানকে জিতাতে পারেনি। তাদের এই দুঃখ মাঝেমাঝে বড়বেশি আপ্লুত করে আর তাই তারা এদেশের তাদের পাকিস্তানী বন্ধুদের খুশি করার জন্য সনাতনিদের মন্দির এবং প্রতিমা ভাঙচুর করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
এসব বিষয়ে বর্তমান সরকার অনেক সময় কঠোর অবস্থানে থাকলেও ভাঙচুর হয়ে যাওয়া প্রতিমার বিচার কেনো জানি কখনও হতে আমরা লক্ষ্য করিনা। সরকারকে এ বিষয়ে অবশ্যই আরো কঠোর হতে হবে এবং কোনো ধরনের চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে এসব নরপশুদের বিচার করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওয়াসার পাইপ লাইন বসানোর কাজ পুনরায় চালু হোক
পরবর্তী নিবন্ধকবি ও কবিতা