আমার বাবা, আমার কল্পতরু

দোলনা বড়ুয়া তৃষা | রবিবার , ২০ জুন, ২০২১ at ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ

আমাদের বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের একটা ধর্মীয় বিশ্বাস যে, আমরা যখন মৃত্যুর পর স্বর্গে উৎপন্ন হবো, তখন সবার কাছে একটা করে গাছ থাকবে এতে আমরা যা চাইবো তা আমাদের দেওয়া হবে বা ঝরে পড়বে। অনেক সময় না চাইলেও মনে মনে আশা করলেও তা উৎপন্ন হবে সে গাছে। এইটাকে বলা হবে কল্পতরু। তার উদ্দেশ্যে আমরা সবচেয়ে পুণ্যবান ধর্মীয় অনুষ্ঠান কঠিন চীবর দানে এভাবে গাছ সাজিয়ে দান করি যাতে আমরাও এমন কল্পতরু পাই। তবে আমার মনে হয়, আমার এই জীবনেই বিশাল এক কল্পতরু পাই। সে কল্পতরুর নাম হলো বাবা। এই এক বিশাল ছায়ার গাছ। যার প্রতিটা পাতায় পাতায় যেন সন্তানের এক একটা আবদারের সঞ্জীবনী। এরা আজীবন স্থির দাঁড়িয়ে থাকে শেকড় গেড়ে। এই শেকড় ছাড়া আমাদের কোন অস্তিত্ব নেই। আমরা যা চাই তা যেন সে কল্পতরুর মতো আমাদের কাছে হাজির হয়। অনেক সময় না চাইলেও মনের ইচ্ছেতেই পূরণ হয়ে যাই তা। যেন শব্দ খরচের দরকার পড়ে না। বাবা শব্দটা উচ্চারণ করলেই যেন এমন এক খানা স্থির বৃক্ষই ভেসে উঠে। ঠিক এইভাবে বাবা আমাদের বৃক্ষ হয়ে আছে, বাবা আমাদের ভালোবাসতে শিখিয়েছে। শিখেয়েছে মনুষ্যত্বের মূল্যায়ন করে, মানুষকে বিশ্বাস করা। জীবনে অন্যায় না করে, কাউকে না ঠকিয়েও সুন্দর একটা জীবন কাটানো যায়। বাবা আমার প্রবাসী তবে যেন দূর থেকে সর্বদা ছাতা হয়ে রক্ষা করেছে রোদের তপ্ততা আর ঝড় থেকে। এমন সকল প্রবাসী বাবাকে, বাবা দিবসের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। আমার বাবা, আমার নিশ্চিত ছায়া, আমার বাবা, আমার অস্তিত্ব এর কারিগর। আমার বাবা! আমার কল্পতরু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভালোবাসায় থাকুক সব বাবা
পরবর্তী নিবন্ধদেশ হতে দেশান্তরে