ভালোবাসায় থাকুক সব বাবা

আনিকা নাওয়ার | রবিবার , ২০ জুন, ২০২১ at ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ

‘বাবা’ ছোট্ট একটা শব্দ অথচ এর গভীরতা অতলান্ত-অসীম। তিনি বটবৃক্ষ যেন নিদাঘ সূর্যের তলে সন্তানের অমল-শীতল ছায়া। বাবা মানে চির আপন, চিরন্তন বাবা মানে নির্ভরতার আকাশ আর নিরাপত্তার চাদর। কঠিন চেহারা, শক্ত চোয়াল, রাগ-শাসন এর আবডালেই লুকিয়ে থাকে সব বাবার কোমল স্নেহের হৃদয়। সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসা এতোটাই স্বার্থহীন যে, নিজের প্রাণ উৎসর্গ করতে কুন্ঠাবোধ করেন না।
ইতিহাস হতে জানা যায়, ১৯০৮ সালে প্রথম বাবা দিবস উৎযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পৃথিবীতে বাবা দিবস কিভাবে প্রথম প্রচলন শুরু হয় এ নিয়ে অনেক গল্প আছে। তবে এর মধ্যে সবচাইতে বেশি প্রচলিত গল্পটি হচ্ছে- বাবা দিবস সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রে চালু হয় সনোরা স্মার্ট ডড নামের এক নারীর হাত ধরে। সনোরা ছিলেন ৬ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়। সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মা ইলেন স্মার্ট যখন মারা যান, তখন সোনোরার বয়স ছিল মাত্র ষোলো বছর। মা মারা যাওয়ার পর বাবা উইলিয়াম জ্যাকসন স্মার্ট কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সন্তানদের মানুষ করার দায়িত্ব। পেশায় কৃষক উইলিয়াম শত ব্যস্ততার মধ্যেও মায়ের অভাব এতটুকু বুঝতে দেননি।
আমার বেশির ভাগ আবদারই থাকে মায়ের কাছে। কিন্তু জন্মের পর থেকে এসব আবদারের নেপথ্যে থাকেন মূলত বাবা। যাঁর ত্যাগ-তিতিক্ষায় আমরা বেড়ে উঠি ধীরে ধীরে। জনতে পারি বাইরের জগৎকে। একমাত্র বাবারাই পারে কর্মব্যস্ত দিনশেষে বাড়ি ফিরে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে ভুলে যান সারাদিনের ক্লান্তিকর মূহুর্তগুলো। হাজার কষ্ট হাসিমুখে লুকিয়ে তিলে তিলে সন্তানকে বড় করেন একজন বাবা, তাঁকে ঘিরে একদিন ব্যতিক্রমী উৎসব হতেই পারে! তবে বাবার জন্য ভালোবাসা একটি বিশেষ দিনের জন্য নয়, প্রতিটি দিনই বাবার জন্য সম্মান-শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার হতে হবে। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বাবার প্রতি ভালোবাসাটাও গাঢ় হতে হবে। বাবার ভালোবাসা সকলেরই প্রথম চাওয়া এবং পাওয়া। সন্তানের প্রতি বাবার যেমন ভালোবাসা তেমনি বাবার প্রতিও সন্তানের হৃদয় পুঞ্জিভূত থাকুক গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায়। পৃথিবীর সব বাবা ভালো থাকুক, ভালোবাসায় থাকুক। মহামারীর ছোবল থেকে সৃষ্টিকর্তা বাবাদের সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন। বাবা দিবসে আরও একবার বাবাকে বলি ‘ভালোবাসি বাবা’।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাবা সুপার হিরো
পরবর্তী নিবন্ধআমার বাবা, আমার কল্পতরু