আমার এলাকা নিয়ে আমার ভাবনা

জিল্লুর রহমান | শুক্রবার , ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ

আমাদের চট্টগ্রামের আনোয়ারা যদি আমরা ধরি এই শহর সময়ের প্রয়োজনে এবং বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী কিছু সিদ্ধান্তে অনেক উন্নতির পথে – শিল্পে, ব্যবসা-বাণিজ্যে কিন্তু শিক্ষা এবং কর্মে আমরা অনেক পিছিয়ে এর পেছনে হয়ত আমি আপনি এবং আমরা সবাই দায়ী। আনোয়ারা আগামী দশ বছরের পৃথিবীর অনেক উন্নত শহরের মত হতে পারে যদি জোন এবং টানেলের কাজ ঠিকঠাক মত হয় কিন্ত এই উন্নত শহর যে হবে ওখানের যারা মানুষ তাদের ভাগ্যের উন্নতির কথা কি আমরা ভাবছি। আমরা কি ভাবছি কি করে জোনে দেশী বিদেশী শিল্প কারখানায় আমাদের লোকেরা ভাল চাকরিটা পাবে? আমি মালয়েশিয়া লংকাওয়েতে স্থানীয় লোকদের দোকানে সেলসম্যান এবং স্ট্রীট ফুড বিক্রি করতে দেখে মনে হয়েছে ওখানকার স্থানীয় লোকজন জমির দাম পেয়েছে তা দিয়ে মাছতি করে নিজেদের সন্তানদের তৈরী করেনি বা ওখানকার যারা শিক্ষিত এবং সমাজপতি ছিল তারাও তাদের পরামর্শ বা উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। যেমনটি আমি দেখছি ১৯৮৫ সালে যখন চট্টগ্রাম ইউরিয়া সারকারখানা হচ্ছিল তখন আমাদের পশ্চিম আনোয়ারা ছিল অজোপাড়া গাঁও আমাদের আনোয়ারার লোকজনে তো চাকরি পায়নি বরং চাকরি যেকয়জন পেয়েছে তারাও নিজেদের লোকজন ঢুকাতে পারেনি কারণ স্থানীয় বিরোধ এবং সমন্বয়ের অভাব যারই প্রেক্ষিতে আন্দোলন করেছিল মামলাও হয়েছিল। একটা বিদেশী বা আধা সরকারি কোম্পানীতে নিয়োগ পেতে যে যোগ্যতার মাপকাটি তা যদি আমরা মনে করি শুধুমাত্র মন্ত্রী এম পি মহোদয়গণের রিকমেন্ডেশান বা সুপারিশ তা সম্পূর্ণ ভুল আগে যোগ্যতা তারপর উনাদের রিকমেন্ড শান । আমি ১৯৮৬ সালের শেষদিক থেকেই সি ইউ এফ এলে ছিলাম ওখানকার এমপ্লয়েজ ক্লাব থেকে শুরু করে শ্রমিক সংগঠন সবকিছু তৈরী হয়েছিল আমার মামার হাত ধরে যার কারণেই অনেক কিছু দেখেছি সেই একই দেখেছি যখন কাফকো হয় এবং ইয়ংওয়ান হল । আমি যে কথাটা বুজাতে চাইছি তা হল আমরা কি তৈরী করতে পারছি আমাদের সন্তানদের বা আমাদের প্রজন্মদের এই যে উন্নয়ন তার ফল ভোগ করতে না কি আমরা একটা মুদি দোকান বা একটা ফুড কোর্ট করে নিজের কথাই চিন্তা করছি ।
আমি মনে করি আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে সেক্টর ওয়াজ দক্ষ জনশক্তি স্থানীয়ভাবে তৈরী করার এটার জন্য দরকার যতাযত ট্রেনিং এর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে স্থানীয়ভাবে সবাইকে। আমরা যারা ঢাকায় থাকি তারা সহযোগিতা করতে পারি কারণ আমাদের ঢাকায় আমরা মেঝবান করে নিজেদের লোকজনের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে কোটি টাকা খরচ করে নোয়াখালি, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুরের লোকদেরও খাওয়াই অথচ আমাদের ছেলেমেয়েরা টাকার অভাবে একটা ট্রেনিং পায়না এমনকি একটা চাকরির দরখাস্ত লিখতে যে ব্যাংক ড্রাফট করতে হয় তাও অনেকের নেই। আমাদের সমিতি নামক সংগঠনগুলো যেমন উদ্যোগ নিতে পারে তেমনি পারে স্থানীয় প্রতিনিধিগণ। আমি নিজে কয়েকবার উদ্যোগ নিতে গিয়ে পারিনি সময় এবং সামর্থ্য এবং সহযোগিতার সমন্বয় করতে না পারায়। আমি মনে করি এখানে আমার মত অনেকেই আছে যারা আমার সাথে সহমত পোষণ করে কিন্ত সম্বন্বয়ের অভাবে নিজেদের ইচ্ছেকে জাগাতে পারেনা। আসুননা আমরা সম্মিলিত উদ্যোগ নিই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এবং উন্নয়নের সাথে নিজেদের উন্নয়ন করতে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধআমরা কি পুরোপুরি বাঙালি?