সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বভাবজনিত কারণেই চোখ বুলাতে বুলাতে হঠাৎ এক জোড়া নীলাভ চোখের তরুণীর ছবিতে চোখ আটকে গেল। ভারী পাতার ছাউনিতে গভীর নীলাভ চোখ। লম্বা ছিপছিপে গড়ন, শ্যামগায়ের রং, কপালের মাঝ বরাবর সিঁথি বুকের ডান দিকটায় হেলে পড়া ঝর্ণাধারার মতো বয়ে চলা এক গোছা দীঘল চুলের বিনুনি। মুক্তো দানার মতো শুভ্র ঝকঝকে দাঁতে ঠিকরে বেরিয়ে পড়া মিষ্টি মোলায়েম হাসি। সেই নরম মিষ্টি হাসি, মায়া আর ভালোবাসা মাখা এক জোড়া চোখের ভাষায় আজও মনটা আটকে আছে। সাদামাটা আলগোছে পরা শাড়িতে তরুণীর ছবিখানা মনটা এমনই ছুঁয়ে গেল।
আরও ছবি দেখার তীব্র আকাঙ্ক্ষায় গুগলে হাতড়াতে শুরু করলাম। আরও পেলাম এমনই ছবি। কখনও সন্তানদের বুকে জড়িয়ে মায়ের মমতামাখা আদরে, কোনোটি স্বামীর পাশ ঘেঁষে প্রচণ্ড আবেগ অনুভূতি জড়ানো একজন প্রেমময় স্ত্রীর বেশে, কোনোটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের অধিকার আদায়ে তুখোড় আন্দোলনে বিদ্রোহী রণাঙ্গিনীর মূর্তিতে। আবার কোনোটি দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শপথ গ্রহণের দৃষ্টি। কিন্তু আরোও একটি ছবি মনটা অন্যভাবে আন্দোলিত করল। তা হলো, তার প্রাণপ্রিয় পিতার বুকের পাশ জড়িয়ে দাঁড়ানো একটি ছবি। যে ছবি বলছে বাবা আমি তোমার সন্তান। তোমার স্বপ্নগুলো হোক আমার স্বপ্ন। তুমি যেভাবে ভালোবাসতে শিখিয়েছো তেমনি করেই বাসবো ভালো এই মা, মাটি আর দেশকে।
এরপর দেখলাম, `Hasina: A Daughter’s Tale’ ছবিটি। দেখলাম কীভাবে একটি তরুণীর সাজানো জগত সংসার এক নিমিষেই ধূলিসাৎ হয়ে গেল। কীভাবে চোখের পলকেই সর্বনাশা নদী ভাঙনের মতো ভেঙে নিয়ে গেল তার পুরো পরিবার। দেখেছি হাসিঠাট্টায় মেতে থাকা, গভীর বন্ধনে জড়িয়ে থাকা একটি মৌচাকের একটি ঢিলেই তছনছ হয়ে যাওয়ার গল্প। যেখানে ছিল বাবা মৌমাছি, মা মৌমাছি, বড়, ছোট ভাই মৌমাছি। একসাথে জটলা পাকিয়ে থাকা মৌচাক মুহূর্তেই ভেঙে খানখান হয়ে যাওয়ার গল্প। দূরে থাকা সেই কন্যা মৌমাছি দেশে ফিরে তার পরিবারের ছিটেফোঁটাও খুঁজে পেল না। যা রয়ে গেল তাহলো বুক ভাঙা কান্না, স্বজন হারানোর দীর্ঘশ্বাস আর একটি সময় তাঁর পৃথিবী যাঁকে ঘিরে আবর্তিত হতো, যাঁর আদর্শকে ভালোবেসেছিল, যাঁর চলা, বলা, চিন্তা-চেতনাকে নিজের অজান্তেই নিজের বলে ধারণ করেছিল ভেতর-বাহিরে, তাঁর স্মৃতি, তাঁর আদর্শ, তাঁর রেখে যাওয়া স্বপ্ন। আর সেদিন থেকেই হয়তো সেই মিষ্টি তরুণী নিজেকে ক্রমেই তৈরি করতে লাগল দ্বিগুণ শক্তিতে নতুন আরেকজন বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি হওয়ার স্বপ্নে। দেশের মানুষ যেন এই বীর কন্যার চোখেই তাঁর পিতাকে খুঁজে পায়। মানুষ যেন আশ্বস্ত হয় যে, না, আমাদের পিতা হারিয়ে যাননি। তিনি আছেন, তাঁর কন্যার চোখেই আছেন।
সেই নীলাভ চোখের তরুণী আর সেই অতোটা নরম আর কোমল নেই। তাঁর চোখে ঘোর লাগা বেঘোর এখন। তাঁর স্বপ্ন তাঁর দেশ হবে বিশ্বের মানচিত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশ। আর তাই তো এই সময়ে তাঁর দেশ হলো উন্নয়নশীল দেশ হতে মধ্যম আয়ের দেশ। তাঁরই হাতে গড়া সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের বুদ্ধি, মেধা, প্রজ্ঞায় বিশ্বের বুকে জায়গা করেছে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে।
লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে, নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের সাফল্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিস্বরূপ নারীর সার্বিক ক্ষমতায়নে এখন বাংলাদেশের অবস্থান ৪৮তম। সারা বিশ্বের ৩৬টি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২য়। দ্য গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বের ১৪৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৭ তম যা এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় আশাব্যঞ্জক। নারী শিক্ষার উন্নয়ন এবং ব্যবসায়িক উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ‘গ্লোবালউইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া জাতিসংঘের ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ’ অ্যাওয়ার্ডেও ভূষিত হয়েছেন তিনি। ২০১১ সালে প্রগতিশীল নারী উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ৫০-এ উন্নীত করা হয়েছে। বাংলাদেশই সম্ভবত পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে সংসদ নেতা, সংসদীয় উপনেতা, বিরোধী দলীয় নেত্রী ও স্পিকার, শিক্ষা মন্ত্রী নারী। বর্তমানে নারী সাংসদ রয়েছেন ৭২ জন।
২০২০ সাল নাগাদ সকল রাজনৈতিক দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যার স্বীকৃতিস্বরূপ আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মাদার তেরেসা’ পুরস্কার, ‘ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কারে’ ভূষিত হয়েছেন। শিক্ষাখাতে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন চোখে পড়ার মতো। বর্তমানে দেশে নারী শিক্ষার হার ৫০.৫৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। নারীবান্ধব এমন সুযোগ কখন আর কবে কোন সরকারের শাসনামলে হয়েছে তিনি ছাড়া?
জেন্ডার বাজেটিং, মাইক্রো ফাইন্যান্সের মতো উদ্যোগগুলো নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করেছে। নারীদের ক্ষেত্রে সরকারের বিনিয়োগ সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে সুফল বয়ে আনছে। আজ দুই কোটি নারী কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে নিয়োজিত এবং ৩৫ লাখেরও বেশি নারী তৈরি পোষাক খাতে কাজ করছেন যা আমাদের রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় ও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।
সর্বশেষ তথ্য মতে, প্রায় ১ হাজার নারী সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করেছেন। নারীরা আজ বিচারপতি, সচিব, ডেপুটি গভর্নর, রাষ্ট্রদূত, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মানবাধিকার কমিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে প্রশাসনে সিনিয়র সচিব, সচিব ও ভারপ্রাপ্ত সচিব রয়েছেন ৬ জন নারী। অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৮১ জন, যুগ্ম-সচিবের মধ্যে নারী রয়েছেন ৮৭ জন। মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে গত বছর পর্যন্ত নয়টি জেলায় নারীরা দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন নারী হিসেবে, একজন স্বপ্নবাজ নারী হিসেবে এই নারীকে ভালোবাসার আর কি কারণ বাকি থাকতে পারে?
এর আগে একবার ঢাকায় গিয়ে পদ্মা সেতু দেখার শখ হলে অদ্ভুত রকম মুগ্ধতা নিয়ে ফিরতে হয়েছিল যা আমার আরেকটি লেখায় মূল বিষয়বস্তু ছিল যা অন্য একটি পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। পদ্মা সেতু নির্মাণের মতো অসাধ্যকে সাধন করে দেখিয়েছেন এই মহিয়সী। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু যা পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে ৬. ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮. ১০ মিটার প্রস্থের পরিকল্পনায় নির্মিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় সেতু। পদ্মা সেতুর সাথে সংযোগ স্থাপনকারী চোখ ধাঁধানো বিস্তৃত সুরম্য মসৃণ পথ এখন দেশের মানুষের বিদেশ ভ্রমণের তৃষ্ণার প্রধান নির্বাপক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে যার ভুমিকা অনস্বীকার্য।
চট্টগ্রামের মানুষ আমি। চট্টগ্রাম আমাদের দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং এর মধ্য দিয়েই সঞ্চালিত হয় দেশের অর্থনৈতিক জীবনীশক্তি। দেশের সর্বমোট রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৭৫ ভাগ সংঘটিত হয় চট্টগ্রামের উপর দিয়ে। অন্যদিকে, আমদানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ হার ৮০ ভাগ। রাজস্ব আয়েও চট্টগ্রামের ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের মোট রাজস্ব আয়ের শতকরা ৬০ ভাগ আসে চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে কিন্তু তা হওয়া সত্ত্বেও বরাবরই অবহেলিত হয়ে এসেছে আমাদের এই নগরটি যা না বললেই নয়। সর্বক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকতে হচ্ছে এই নগরীকে। তবে আশার আলো এই আমার এই ভালোবাসার মানুষটি ধীরে ধীরে এদিকটায়ও সদয় দৃষ্টি দেয়া শুরু করেছেন। তৈরি হচ্ছে আমাদের বহুল কাঙ্ক্ষিত বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেল।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে ৩ হাজার ৫ মিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু টানেল। দেশের প্রথম টানেল প্রকল্প এটি। টানেলটি নেভাল একাডেমি পয়েন্টে শুরু হয়ে কাফকো ও সিইউএফএল পয়েন্টের মাঝখান দিয়ে অপর প্রান্তে যাবে। এছাড়া প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত চার লেনের দীর্ঘ ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের কাজ প্রায় দুই তৃতীয়াংশ সম্পন্ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু টানেলটি নির্মিত হলে কর্ণফুলী নদীর পূর্ব প্রান্তের প্রস্তাবিত শিল্প এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত এবং পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত চট্টগ্রাম শহর, নৌ বন্দর ও বিমানবন্দরের সঙ্গে উন্নত ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে।
শুধু তাইই নয়, দোহাজারী হতে রামু হয়ে কঙবাজার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কঙবাজারের সঙ্গে রেলযোগাযোগ বাড়বে। ট্রান্স এশিয়ান রেলের অন্তুর্ভুক্ত এই সংযোগটি বাংলাদেশ হয়ে মিয়ানমার চলে যাবে। এ রেললাইনের রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণের কাজসহ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রেললাইনের রাস্তা নির্মাণসহ অনেক কাজ দৃশ্যমান হচ্ছে। তাছাড়া কঙবাজার সদরেই তৈরি হচ্ছে ঝিনুক আকৃতির আন্তর্জাতিক মানের রেলওয়ে স্টেশন যেখানে স্টেশনের কর্মকাণ্ড ছাড়াও থাকবে বহুমুখী সুযোগ-সুবিধা পর্যটকদের জন্য। এমন একটি আকর্ষণীয় প্রকল্প আমাদের দেশের পর্যটন শিল্পের নতুন দ্বার উম্মোচন করবে।
আর যে কথাটি না বললেই চলে না, তা হলো কোভিড-১৯কে ঘিরে তাঁর দূরদর্শিতা। বিশ্বের বাঘা বাঘা দেশ যেখানে হিমশিম খেয়েছে পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে হাজারো সমালোচনা আর গভীর ও নিরবচ্ছিন্ন ষড়যন্ত্রের মধ্যেও আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা পেয়েছেন ‘ভ্যাঙিন হিরো’-এর পুরস্কার। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য তিনি এক লক্ষ বত্রিশ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেন। কোভিড-১৯ এর সাহসী মোকাবেলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ প্রণীত ‘কোভিড-১৯ সহনশীল র্যাংকিং’-এ বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ এবং বিশ্বে বিশতম স্থান অর্জন করেছে।
আমি তো কোনো রাজনৈতিক কর্মী বা নেতা নই। তাই রাজনৈতিক পদ-পদবীর সুবিধা লাভের আশায়ও এমন লেখা নয়। শুধু দূর থেকে সাদা চোখে দেখে দেখে ভালোবেসে ফেলা একজন ভক্ত বলা চলে। বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে গেলেও এই বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন নারীর ভালোলাগাময় কাজগুলো তুলে ধরতে ভুলি না। আমার ভালো লাগে বলতে কারণ নারীরা যেখানে সর্বক্ষেত্রে অবমূল্যায়িত হয় সেখানে আমাদের নারী নেতৃত্বেই দেশ এতোটা সফলতার মুখ দেখছে।
বলি, শুধু আমি লীগের মানুষ, লীগের মানুষ বলে চেঁচামেচি না করে লীগের আদর্শকে ভালোবাসতে শিখুন। প্রধানমন্ত্রীর অহেতুক লোকদেখানো গুণগান না করে বরং তাকে ভালোবাসুন। তাঁকে ভালোবাসলে তাঁর চাওয়া-পাওয়াকেও মূল্যায়ন করতে শিখুন। তাঁর স্বপ্নকে নিজের স্বপ্ন বলে বিবেচনা করুন। তাঁকে ভালোবাসুন, আমার দেখা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্বপ্নবাজ চোখের রমণীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করুন।
হয়তো আমিও আমার পিতার অতি আদরে হাতে গড়া সন্তান বলে কিংবা আমার পিতার কাজকেও একইভাবে নিজের কাজ বা স্বপ্ন হিসেবে জানি বলেই অনুভূতিটাও তাঁর প্রতি একটু বেশিই তীব্র। একটু বেশিই বাজে বুকের বাঁ দিকটায়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকার আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সৎ ও নিষ্ঠার মূর্ত প্রতীক। তাঁর এমন সততার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে সৎ পাঁচজন সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানের তালিকায় তিনি তৃতীয় অবস্থান অর্জন করেছেন। আর অর্জন করবেন নাই বা কেন? কী আছে তাঁর চাওয়া-পাওয়ার? সবইতো হারিয়েছেন সেই ১৯৭৫ সালেই। এখন তো তিনি শুধু দিতেই বেঁচে আছেন এই মমতাময়ী।
দেশের প্রখ্যাত লেখক ও গবেষক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান মহোদয় তাঁর উদ্দেশে লিখেছেন, “হ্যাঁ, বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতির সমার্থক রূপ মানেই শেখ হাসিনা।”
এতক্ষণ যাঁর কথা বলছিলাম, যিনি আমাদের সমগ্র বাঙালি নারীর সৌরভ আর গৌরবের অগ্রদূত, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। মাত্র ক’দিন আগেই পালিত হয়েছে তাঁর ৭৫তম জন্মদিন। আমার হৃদয়ের পুঞ্জীভূত সকল ভালোবাসা উজাড় করে বলতে চাই, ‘স্বপ্নবাজ নীলাভ নয়না তোমায় অভিনন্দন।’
লেখক: প্রাবন্ধিক, কবি; অধ্যাপক, ওমরগণি এমইএস কলেজ