আমরা আবার যাব
পাতার আড়ালে হারিয়ে যাওয়া
পাহাড়ের নাম খুঁজে নিতে।
আবার শুনব গান
ফাগুন–বাতাসে পাতা–ঝরা ধ্বনির ভেতর।
মেঘবন্দী কংলাকের ঢালু থেকে নেমে
ছায়া–অন্ধকারে অগন্তব্যে হেঁটে যাব
সংগোপন শঙ্কিত নদীটির দিকে।
জেনে নেব তার কাছে
কোনো বাঘিনীর তৃষ্ণা জমা আছে কিনা।
অশীতিপর অশ্বিনী ত্রিপুরার স্মৃতির ভেতর
কিসের গর্জনে
বনভূমি কেঁপে কেঁপে ওঠে?
রহস্যভেদে কয়েকজন কবি ও গোয়েন্দা
তৎপর হয়ে উঠব গাঢ় কুয়াশায়।
মর্মরের মর্মকথা বুঝে নেব
প্রতিটি পাতার দুঃখ সরিয়ে সরিয়ে
পাগমার্ক খোঁজার সময়
অকষ্মাৎ রক্তচিহ্ন আর পদচ্ছাপ দেখে
পর্বতশ্রেণির মতো বোবা আর
আতঙ্কিত হবো না আবার।
আবার শুনব সেই প্রতিশ্রুত কথা
পত্রমোচি গাছটির ডালে বসা
বুদ্ধিহীন দোয়েলের শিষে।