আবারো উৎপাদনে যাচ্ছে শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্র

৯১ কোটি সাড়ে ৮৫ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন

পটিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:২১ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলীর শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এপ্রিলে পুনরায় উৎপাদনে যাচ্ছে। গ্যাস টারবাইনসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে। গ্যাস টারবাইন মেরামত করে আগামী এপ্রিলে পুনরায় উৎপাদনে আসছে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট।

জানা গেছে, গত ২০১০ সালে ১৫০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হলেও বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের আগস্টের দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলেও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর চট্টগ্রামের অনেক শিল্পকারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয় বলে জানান পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট সংশ্লিষ্টরা।

জানতে চাইলে শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যথাযথভাবে উৎপাদন কার্যক্রম চলছিল। কিন্তু ২০২১ সালের আগস্টে হঠাৎ করে টেকনিক্যাল ফল্টের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এ কেন্দ্রের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো সিমেন্স জার্মানি দেখাশুনা করে। এটি সময় সাপেক্ষ বিষয়। আশাকরি এ সমস্যা দ্রুত নিরসন করে আগামী এপ্রিলেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।

জানা যায়, গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য ৯১ কোটি ৮৫ লাখ ৫১ হাজার ৪৮৯ টাকার যন্ত্রপাতি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ঢাকার জেঅ্যান্ডসি ইমপেঙের কাছ থেকে শিকলবাহা পাওয়ার প্ল্যান্টের গ্যাস টারবাইন অংশের সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশ সংগ্রহ, স্থাপন এবং বিশেষজ্ঞ সেবা নেবে। এজন্য ব্যয় হবে ৯১ কোটি ৮৫ হাজার ৪৮৯ টাকা।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ব্যবস্থাপক কামরুদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্যাস টারবাইনসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ আছে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র। নতুন করে যেসব সংস্কার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে আগামী এপ্রিলে এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে বলে আমরা আশা করছি।

সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি ও বাংলাদেশের কাফকোর কাছ থেকে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার। সেজন্য মোট খরচ হবে ২২৫ কোটি ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৬ টাকা। বুধবারের বৈঠকে এ প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা কমিটি।

অতিরিক্ত সচিব জানান, বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) জন্য কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে দ্বাদশ লটে ১১০ কোটি ২০ লাখ ৫৩ হাজার ১৫০ টাকায় ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিসিআইসির জন্য সৌদি আরবের সাবিক এগ্রিনিউট্রেস কোম্পানি থেকে ১৮তম লটে আরও ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার ১১৫ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫৫৬ টাকায় কেনা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমস্কোতে রাষ্ট্রদূতকে তলব প্রতিক্রিয়া জানাতে সময় নিচ্ছে ঢাকা
পরবর্তী নিবন্ধপ্রকল্প পরিচালককে মারধরে ১১ ঠিকাদার চিহ্নিত