আনসার আল ইসলামের রিক্রুটিং শাখার প্রধান ও দুই প্রশিক্ষক গ্রেপ্তার

| রবিবার , ২৬ মে, ২০২৪ at ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের রিক্রুটিং শাখার প্রধান ইসমাইল হোসেনসহ ৩ জন গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব৩। বাকি দুইজন হচ্ছেন আনসার আল ইসলামের আঞ্চলিক প্রশিক্ষক। তাদেরকে রাজধানীর গুলিস্তান ও সাইনবোর্ড এলাকা থেকে উগ্রবাদী বইসহ গ্রেপ্তার করা হয়। খবর বাসসের। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব৩ এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর গুলিস্তান ও সাইনবোর্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনসার আল ইসলামের রিক্রুটিং শাখার প্রধান মো. ইসমাইল হোসেন (২৫), মো. জিহাদ হোসেন ওরফে হুজাইফা (২৪) ও মো. আমিনুল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করে।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য। তারা আফগানিস্থানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল কায়েদা মতাদর্শের জঙ্গি সংগঠনে আনসার আল ইসলামে যোগাদান করে। গ্রেফতারকৃতরা আনসার আল ইসলাম মতাদর্শী ‘শাহাদাত’ নামে নতুন একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা শতাধিক। গ্রেফতারকৃত ইসমাইল আনসার আল ইসলামের রিক্রুটিং শাখার প্রধান এবং ‘শাহাদাত’ গ্রুপেরও প্রধান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতো। ইসমাইল জানিয়েছে, এই গ্রুপটি সালাহউদ্দিন নামক এক ব্যক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। যিনি বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছে। এই গ্রুপের অন্যান্য সদস্যরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা। র‌্যাব জানিয়েছে, এ সংগঠনের অধিকাংশই মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষক। সাধারণ লেখাপড়ায় শিক্ষিত উগ্র মনোভাবাপন্ন লোকজনকে আকৃষ্ট করার জন্য দেশ বিরোধিতাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহিজরি নববর্ষ উদ্‌যাপন পরিষদের মতবিনিময় সভা
পরবর্তী নিবন্ধবিমানের কক্সবাজার ও কলকাতার ফ্লাইট বাতিল