আদালতে বিয়ে, মিলেছে স্বীকৃতি

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৮ আগস্ট, ২০২২ at ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ

চাকরিসূত্রে ফারহানা ইসলাম শারমিনের সাথে মো. সাগরের পরিচয়, একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রী হিসেবে এক ঘরে বসবাসও শুরু করেন। কিন্তু বিয়ে করেননি। এর মধ্যে তাদের ঘরে আসে এক কন্যাশিশু। একপর্যায়ে শারমিন বিয়ের কথা বললে তাতে অস্বীকৃতি জানায় সাগর। কী আর করা। আদালতে গিয়ে ধর্ষণ মামলা ঠুকে দেন শারমিন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যেতে হয় সাগরকে। জামিন আবেদন করলে আদালত থেকে ফের বিয়ের প্রসঙ্গটি তোলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শারমিনকে স্ত্রী হিসেবে বরণ করে নিলেন সাগর। গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহাম্মদ ভূঁইয়ার আদালতে তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়।
মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার কাবিনে সাগর রাজিয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজাদীকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শারমিন গত ১৮ জুলাই সাগরের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলায় পুলিশ সাগরকে গ্রেপ্তারও করেন। একপর্যায়ে তার পক্ষে আদালতে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। জামিন শুনানিতে বিয়ের প্রসঙ্গটি উঠে আসে। সাগরের কাছে জানতে চাওয়া হয় সে বিয়ে করতে রাজি কিনা। সে সম্মত বলে মত দেন। এরপরেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। গত ৮ আগস্ট বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাগরের অভিভাবক উপস্থিত না থাকায় সেদিন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় বিচারক আজকের (গতকাল) জন্য দিন ধার্য করেন। তিনি বলেন, বিয়ে শেষে শারমিনের জিম্মায় সাগরকে জামিন দেয়া হয়। বলা যায়, শারমিনকে বিয়ে করার ফলে ধর্ষণ মামলা থেকে জামিন পেয়েছেন সাগর।
আদালতসূত্র জানায়, ফারহানা ইসলাম শারমিন নগরীর বায়েজিদের আমিন জুট মিলস এলাকার শহীদুল ইসলামের মেয়ে। অন্যদিকে মো সাগর বায়েজিদের কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকার ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধফের পানিবাহিত রোগের প্রকোপ