আদালতের তল্লাশি চৌকিতে জেএমবির বোমা হামলায় পুলিশ সদস্যসহ দুজন নিহতের মামলায় আজ রোববার রায় ঘোষণা হবে। চট্টগ্রামের সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর চাঞ্চল্যকর এ মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেদিনই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।
সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনোরঞ্জন দাশ আজাদীকে বলেন, রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে জঙ্গি জাবেদ ইকবালকে এজলাসে হাজির করা হবে। এ মামলার জীবিত অপর আসামি বোমারু মিজান পলাতক আছেন। তার অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করবেন বিচারক। আমরা এ দুই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি এবং দাবি করছি। আসামিরা সেদিন বোমা হামলা চালিয়ে রাষ্ট্র নিয়োজিত একজন পুলিশ সদস্য ও একজন পথচারীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। রাষ্ট্রের ভিত নড়বড়ে করতেই এ হামলা চালানো হয়।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, গুরুত্বপূর্ণ এ মামলায় গত ৯ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ৭৭ সাক্ষীর মধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ১৮ মে জাবেদ ইকবালসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। অন্য একটি মামলায় আবদুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান নামের তিন আসামির ফাঁসির আদেশ হওয়ায় তাদের এ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। অপর দুই আসামির মধ্যে মোহাম্মদ প্রকাশ আমান প্রকাশ জাবেদ ইকবাল চট্টগ্রাম কারাগারে এবং অপরজন জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ বোমারু মিজান পলাতক।
২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ময়মনসিংহ আদালতে নেওয়ার পথে ত্রিশাল এলাকায় প্রিজন ভ্যানে গুলি ও বোমা ছুড়ে তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওই তিনজনের একজন হলেন জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ বোমারু মিজান।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তল্লাশি চৌকির সামনে বোমা হামলা চালায় জেএমবির সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও বিচারপ্রার্থী মো. শাহাবুদ্দীন। আহত হন কনস্টেবল আবু রায়হান, সামসুল কবির, রফিকুল ইসলাম, আবদুল মজিদসহ ১০ জন।
