অল্প সময়ের মধ্যে (পাঁচ থেকে ছয় বছর) বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় আসা গৌতম আদানিকে নিয়ে এখন আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। তার শীর্ষে উঠে আসার পুরো অনিয়ম–জালিয়াতির ঘটনা সামনে নিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ রিসার্চ। আর্থিক জালিয়াতির কারণে এখন ভারতের শেয়ারবাজারের পাশাপাশি পুরো ব্যাংকিং খাতে চরম উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। বিপুল পরিমাণ ঋণের কারণে ব্যাংকগুলোর অস্তিত্ব নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে বেশ ভালো বিপদেই পড়েছেন ভারতের শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি। খবর বাংলানিউজের।
বিছুক্ষণ আগেও ফোর্বসের বিশ্ব ধনীর তালিকায় আদানি ছিলেন ৯ নম্বরে। ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার খুইয়ে সাত নম্বর থেকে তিনি ৯–এ নেমে এসেছিলেন। এ পতন অব্যাহত রয়েছে। এ মুহূর্তে তার অবস্থান রয়েছে ১৩ নম্বরে। ৮৪.৪ বিলিয়ন ডলার নিয়ে নবম স্থানে উঠে এসেছেন আরেক ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। এদিকে আদানির বর্তমান সম্পদ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৭৯.০ বিলিয়ন ডলারে। হিনডেনবার্গ রিসার্চের একটি বিশেষ প্রতিবেদনের পর আদানিগোষ্ঠীর শেয়ারমূল্যে রীতিমতো ধস নেমেছে। এতে তিনি ফোর্বসের ধনীদের তালিকায় ১৩ নম্বরে নেমে গেছেন।
ফোর্বসের তালিকায় দেখা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনকুবেরের তালিকায় ১৩ নম্বরে গৌতম আদানি। তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৭৯.০ বিলিয়ন ডলার। তালিকায় আদানির আরও অবনমন হবে বলেই শঙ্কা প্রকাশ করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। এদিকে ব্লুমবার্গের সেরা ধনীর তালিকায়ও আদানির অবনমন হয়েছে। সেই ইনডেক্সে দেখা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনকুবেরের তালিকা থেকেই বাদ পড়েছেন তিনি।
