আট উপজেলার জন্য ৮ সাংগঠনিক টিম

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সেপ্টেম্বরে এর আগে উপজেলা ইউনিয়ন ওয়ার্ড সম্মেলন তৃণমূলের প্রতিনিধি সভায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৫ মে, ২০২২ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। জেলা সম্মেলনের আগে উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড সম্মেলনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসাথে ৮ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড সম্মেলনসহ সাংগঠনিক কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য জেলার শীর্ষ নেতাদের সমন্বয়ে ৮টি সংগঠনিক টিম গঠন করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। জেলার আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের আহ্বায়ক করে ৬ এবং ৭ সদস্যের উপজেলা সাংগঠনিক টিমের ঘোষণা দেয়া হয়। সাংগঠনিক টিমের নেতাদের আগামী ২১ মে প্রত্যেক উপজেলায় একযোগে বর্ধিত সভা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসাথে ১০ জুন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা আহ্বানেরও নির্দেশ দেয়া হয়। বর্ধিত সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি।
গতকাল শনিবার নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রতিনিধি সভায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের বক্তব্য শোনার পর দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সিদ্ধান্তসমূহ ঘোষণা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। তিনি বলেন, আজকের প্রতিনিধি সভা অত্যন্ত সময়োপযোগী। দক্ষিণ জেলায় ছয়টি আসন রয়েছে। আগামীতে এসব আসনে প্রধানমন্ত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন আপনারা তাকে বিজয়ী করে আনবেন। এটি আমার অনুরোধ। জয়ী করে আনতে পারবেন তখন যখন আপনারা তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারবেন। আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন থেকে নিতে হবে। তূণমূল আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী সংগঠন থাকলে কেউ আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারবে না। আগামী নির্বাচনে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী কমিটি করবেন এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগকেও বলবেন। ভোট আসলে প্রার্থীকে নিয়ে ঘরে ঘরে যাবেন। আদবের সাথে ভোট চাইবেন। আমি ৯ বার ইলেকশন করে ৭ বার এমপি হয়েছি। ২ বার হইনি অন্যান্য কারণে। তা-ও সামান্য ভোটে হেরেছিলাম। ভোটে জেতার একমাত্র কৌশল হলো সম্মানের সাথে, আদবের সাথে মা-বোনের কাছে ভোট চেয়েছি।
সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা অনেক কাজ করেছি। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা দিয়েছি। সারা দেশ আলোকিত হয়েছে। বিদ্যুৎ শতভাগ হয়েছে। এগুলো শেখ হাসিনার অবদান। খালেদার পুত্র তারেক জিয়া খাম্বা বিক্রি করে খেয়েছে। আজকে খাম্বা নেই। সারা দেশ আলোকিত। শেখ হাসিনার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আছে বিধায় আজ দেশ উন্নয়নশীল হয়েছে। উন্নতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উত্তর জেলায় আমরা সবসময় সংসদ সদস্য বেশি পাই না। কিন্তু দক্ষিণে আগে সেভাবে আসন পেতাম না। এখন পেয়েছি। আপনারা শক্তিশালী সংগঠন করবেন। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা, জেলা এভাবে পর্যাক্রমে কমিটি করবেন। ভোটের মাধ্যমে প্রতিটি পর্যায়ে উত্তর জেলায় নেতা নির্বাচন হয়েছে। দক্ষিণ জেলায়ও আগামীতে তৃণমূলের ভোটে প্রকৃত ত্যাগী ও যোগ্যদের নেতা নির্বাচন করবেন।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ধর্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা এবং অর্থ পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সামনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এবং তাদের অঙ্গসংগঠনগুলোকে এক করে সকল হিংসা ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। নিজেদের মধ্য দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে এক হয়ে আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বিজয়ের মালা পরাতে হবে। তাই যে যার অবস্থান থেকে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। প্রত্যেকটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে শক্তিশালী দল গঠন করতে হবে। তারপর আসবে জেলা কমিটি।
দক্ষিণ জেলার নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যোগ্য কর্মী নির্বাচন করুন। খেয়াল রাখবেন, বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা যেন আওয়ামী লীগের লেবাস ধরে দলে প্রবেশ করতে না পারে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিজ্ঞা ছিল, বাংলাদেশের মানুষ আর অন্ধকারাছন্ন থাকবে না। বিদ্যুতের আলো পৌঁছে যাবে প্রতিটি ঘরে। তিনি কথা রেখেছেন। বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত পুরো বাংলাদেশ। এই সরকার বিদ্যুতের আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, স্বপ্নের পদ্মা সেতু আর স্বপ্ন নয়। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে প্রধানমন্ত্রী সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন আমরা চাইলে সবই পারি। শুধু পদ্মা সেতু নয়, বঙ্গবন্ধু টানেল ও মীরসরাই ইকোনমিক জোন বাংলাদেশের মানচিত্রকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হচ্ছে সংগঠনের প্রাণ। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিশ্বস্ত, শেখ হাসিনার বিশ্বাস রয়েছে তৃণমূলের উপর। তৃণমূলের ঐক্যের কারণে শেখ হাসিনা অতীতে বহু বিপদ সঙ্কুল পথ পেরিয়েছেন। ঐক্যবদ্ধ থাকলে আওয়ামী লীগকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না।
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখার সময় অহেতুক সমালোচনা না করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, অহেতুক সমালোচনা করবেন না। শিষ্টাচার বজায় রাখবেন। সম্মান দিয়ে কথা বলবেন। দল-নৌকা আমাদের, নৌকাকে জিততেই হবে। শেখ হাসিনা মানে উন্নয়ন, অগ্রগতি, শেখ হাসিনা থাকলেই দেশ ভালো থাকবে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ জেলায় যতগুলো উপজেলা আছে, ওয়ার্ড আছে, ইউনিয়ন আছে, সেগুলোতে আমরা সফলভাবে সম্মেলন করতে চাই। যেখানকার সম্মেলনে সেই ওয়ার্ডে ইউনিয়নে বসে আমরা সম্পন্ন করতে চাই। কাউন্সিলরদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার ভিত্তিতে অথবা সরাসরি কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে। কোথাও কোনো পকেট কমিটি গঠন করতে দেয়া হবে না। কোথাও কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী কোনোভাবে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, এক নম্বর সহসম্পাদক পদে তাকে নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। একসঙ্গে এতগুলো কাজ একা করা সম্ভব নয়। আমরা ঢাকা থেকে অথবা মোছলেম ভাই, মফিজ ভাই তাদের দশটি হাত নেই, তারা একবারে সব কাজ করে ফেলবেন। তাই আমরা মাননীয় সভানেত্রীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের অভিজ্ঞ শীর্ষ নেতাদের সমন্বয়ে দক্ষিণ জেলার একেকটি উপজেলার জন্য একেকটি সাংগঠনিক টিম গঠন করেছি। প্রত্যেকটি সাংগঠনিক টিম উপজেলার একবারে তৃণমূল পর্যায়ে গিয়ে দলকে সংগঠিত করবেন এবং জবাবদিহি করবেন। জবাবদিহিতা ছাড়া আওয়ামী লীগ চলতে পারে না।
সভার শেষ পর্যায়ে বক্তব্যে তিনি বলেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমাদের মোছলেম ভাই সিনিয়র নেতা। উনার মানসম্মান আছে। উনি ব্যর্থ হোক, সেটা আমরা চাই না। সেজন্য নিচের দিকের সম্মেলন শেষ করে তারপর উপরের দিকে আসতে হবে। নিচের সম্মেলন শেষ না করে জেলা সম্মেলন করা যাবে না।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে নয়জনকে মন্ত্রী বানিয়েছিল। কিন্তু তারা চট্টগ্রামের উন্নয়নে কোনো কাজ করেনি। বিএনপি-জামায়াতের আমলে দক্ষিণ জেলার আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী হত্যাযজ্ঞ ও অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন। দক্ষিণ চট্টগ্রামে অনেক নেতা তখন বাড়িতে যেতে পারেননি। অনেকেই শহরে এসে আত্মগোপন করেছিলেন। অনেককে বিদেশে চলে যেতে হয়েছিল। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সারা দেশের মতো দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে কঙবাজারে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করছে। এখন আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, দলের সাংসদদের সঙ্গে সংগঠনের যেন দূরত্ব না হয়। যদি দূরত্ব হয় তাহলে এই উন্নয়নের যে সুফল এবং সাংগঠনিকভাবে আমাদের যে অর্জন সেটা ঘরে তুলতে পারব না। কিন্তু এখন সেই বিষদাঁত ভেঙে গেছে বিএনপির।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন দক্ষিণ জেলার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার সময় আবার এসেছে। সামনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এখনই উপযুক্ত সময় এসেছে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করার। প্রতিটা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানায় শক্তিশালী কমিটি তৈরি করুন। মনে রাখবেন, কোনো ত্যাগী কর্মী যাতে কমিটি থেকে বাদ না পড়েন। ভোটের মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়। দল যাকেই মনোনয়ন দিক না কেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে প্রতিটি দুয়ারে গিয়ে ভোট চাইবেন, দেশের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্য।
আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ধারাবাহিকভাবে পর পর তিনবার দেশের শাসনভার গ্রহণ করে আজ দেশের কল্যাণ করে যাচ্ছেন। আজকে আমি মনে করি বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন আওয়ামী লীগ। বন্ধবন্ধু কন্যার সততা, দৃঢ়তা, সাহসিকতা ও রাষ্ট্র পরিচালনায় দূরদর্শিতায় আজকে বিশ্ব মনে করে শেখ হাসিনা একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। করোনার সময় পৃথিবীতে অনেক উন্নত দেশ রাষ্ট্র পরিচালনায় হিমশিম খেয়েছে, সেখানে জননেত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। তাই তো কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেছেন, পৃথিবীর তিনজন সফল রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন। আজকে অনেকে শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখিয়ে ভয় দেখায়। পাকিস্তানের ক্ষমতা পরিবর্তন হয়, তখন দেশে অনেকে পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখে। যখন ভারতে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়, তখন বিএনপির নেতারা ভারতীয় দূতাবাসে মিষ্টি নিয়ে হাজির হন।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক রিজার্ভ ৫০ মিলিয়ন। পাকিস্তানের বৈদেশিক রিজার্ভ ১০.৫ বিলিয়ন। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বৈদেশিক রিজার্ভ যোগ করলে ১১ বিলিয়ন। এর মধ্যে বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভ হচ্ছে ৪১ বিলিয়নের বেশি। অর্থাৎ শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের চেয়ে চার গুণ বেশি বৈদেশিক রিজার্ভ রয়েছে, যা দিয়ে ৬ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা রয়েছে।
ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি বলেন, দেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে ৭০ গুণ ধনী ছিল। আজকে বাংলাদেশের এক টাকা সমান পাকিস্তানের দুই রূপির চেয়ে বেশি। আজকে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, বাংলাদেশ কখনো পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কা হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দীন আহমদ এমপি বলেন, আজকের প্রতিনিধি সভা মূলত ঐক্যের সমাবেশ। আমরা এমপি ও দলীয় নেতাকর্মীরা মিলে যদি সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন জনগণের মাঝে সঠিকভাবে প্রচার করতে পারি এবং জোট সরকার আমলের চিত্রগুলো তুলে ধরা গেলে আগামী নির্বাচনে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬টি আসন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে উপহার দিতে পারব। তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলের সকল স্তরে ঐক্য সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান।
সভার শুরুতে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান সাংগঠনিক রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। রিপোর্টে বলেন, দলের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সভাপতিসহ সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে তৃণমূলকে শক্তিশালী করার জন্য দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করেছি। আজকে দেশের অন্য যে কোনো জেলার চেয়ে দক্ষিণ জেলার সাংগঠনিক ভিত্তি কোনো অংশে কম নয়। গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে দক্ষিণ জেলার সবগুলো আসন জননেত্রী শেখ হাসিনকে উপহার দেয়ার জন্য দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ প্রাণপণ চেষ্টা করেছে। প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার জন্য দক্ষিণ জেলার একজন কর্মী হিসেবে কঠোর পরিশ্রম এবং ত্যাগী স্বীকার করতে পিছপা হইনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আমরা প্রার্থী নির্বাচনে সবসময় সচে

পূর্ববর্তী নিবন্ধপি কে হালদার পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধসিএনজি টেক্সি চোর চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার