আজাদ বুলবুলের শিল্পসত্তায় ‘করোনাকালের ক্বাসিদা’

শাকিল আহমদ | শুক্রবার , ১২ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৪:০৬ পূর্বাহ্ণ

সাহিত্যের পোশাকী ভাষা থেকে বেরিয়ে এসে মেদহীন এক গল্পভাষার স্বতন্ত্র কথাকার বলা যায় আজাদ বুলবুলকে। তাঁর কথাসাহিত্যে যে ভিন্নমেজাজের একটি স্বতন্ত্রস্বর বজায় থাকে তা পাঠকমাত্রই সহজে উপলব্ধি করে। আজাদ বুলবুলের ‘করোনাকালের ক্বাসিদা’ গল্পগুলোর পড়তে পড়তে গন্ডগ্রামের মানুষের যাপিত জীবনের উৎসারিত ভাষা ও ভাবভঙ্গির স্বাতন্ত্র লক্ষ্যনীয় যা পাঠককে মোহগ্রস্ত করে গল্পের পটভূমি, পরিবেশ , প্রতিবেশের সাথে। কখনো একাত্ম করে তোলে। বস্তুত এটাই কথাশিল্পী আজাদ বুলবুলের শিল্প নিপুনতা। যেমন ‘ভয়’ গল্পের শুরুটা এমন– “কোথায় গেলো কালিমুগা ধানের সুঘ্রাণ? সুপারি বাগানের গেছো গন্ধ, ঘাস বাদালির মিষ্টি সুবাস। পাট পঁচানোর সোঁদা গন্ধ এখন কই? চৈত মাসে কাদাজল মাখা প্যাকের গন্ধও নাকে আসে না। নিজের জন্মভূমি ফেলে বিদেশে থাকবে কেন? আমাদের কী দেশপ্রেম কম? ওখানে গেছিতো রোজগার করতে, করলাম বহুকাল। শেষ বয়সে আড্ডা মারবো খিলপাড়া যুবরত্ন ক্লাবে, পাটি বিছিয়ে তাস খেলবো গোডাউনের মাঠে। শেষ ঘুম ঘুমাবো নিজের মাটিতে।”

মহামারি বিশ্বব্রমান্ডে যেন প্রকৃতির এক অনিবার্য পরিণতি। তবে যুগে যুগে না হলেও শতাব্দীতে এমন কিছু মহামারি বিশ্বকে আঘাত করেছে যা ইতিহাসে বিশেষভাবে দাগ কেটে আছে। যেমন প্লেগ সংক্রমনের কথা মনে হলে এখনও বাঙালির মনে শিহরণ জাগে। বিশ শতকের প্রথমার্ধের সাহিত্য জুড়ে এই প্লেগ মহামারি বিশেষ অনুষঙ্গ হয়ে আছে। যা পরবর্তী প্রজন্মের পাঠককেও আলোড়িত করেছে।

তদ্রুপ কোভিড ১৯ও সারা বিশ্বকে দলিতমথিত করে দিয়ে গেছে। সুতরাং আমাদের সাহিত্যে এর প্রভাবও বহুকাল ধরে থাকবে একথা সত্য। এই ধারাবাহিতায় কথাকার আজাদ বুলবুলের করোনকালের ক্বাসিদা গ্রন্থের দশটি গল্পের মধ্যে আটটি গল্পে গ্রামকে পটভূমি করে, নগর জীবনকে উপজীব্য করে এবং পাহাড়ি জনপদকে জীবন্তভাবে তুলে ধরার প্রয়াস আছে। কথাশিল্পী আজাদ বুলবুল সেই মহামারীকালীন সমাজের শ্রেণিভেদে বিচিত্র মানুষের মানসিক অবস্থানকে গল্পের ক্ষুদ্র ক্যাম্পাসে নিয়ে গল্পের কাঠামো যথাপটভূমি, কাহিনী, চরিত্র, সংলাপ, দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও জীবন দর্শনকে অক্ষুন্ন রেখে শিল্পীতরূপ দিয়েছেন।

করোনাকালীন সময়ে রচিত সাধারণ ছোটগল্পের চাইতে আরো খানিকটা ছোট পরিসরে রচিত এসব গল্পে কিন্তু সমকালীন বটে, তবে সময়কে অতিক্রম করেও ছোটগল্পের আঙ্গিনায় ঠিকে থাকবে তাঁর শিল্প নিপুনতার গুণে। এসব গল্পে আছে স্থানভেদে জীবনঘনিষ্ট আঞ্চলিক ভাষার যথাযথ ব্যবহার। উল্লেখ্য কথাসাহিত্যিক আজাদ বুলবুল কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষাকে প্রাধান্য দিয়ে জীবনঘনিষ্ট সাহিত্য রচনায় এক সুনিপুন কারিগর। যেমন ‘নসীব’ গল্পে তার জীবনঘনিষ্ঠ ভাষার ব্যবহার

কাশিমার ডরভয় কম। জ্বীনভূত, তাবিজটোনা, বালামুসিবত; কোনো কিছুকেই ভয় পায় না সে। নিঝুম গোরস্থান, ভয়াল শ্বশান খোলা, নিকষ তালতলা, আঁধারি বটতলায় রাতবিরাতে নির্ভয়ে যাওয়া আসা করে কাসিমা। বালাই মুছিবত দুর গরিবাল্লাই ফইর বৈদ্য ন ডাকি আতত সাবান মাখর। মাথারে লাথি মারি টেইক্যারে (টুপিকে) ছালাম দঅর। ‘আফসোস’! করোনার ভয়ে পাহাড় মুড়ায় অস্থির সবাই। আতঙ্কে ঘরের ভেতরে সেঁদিয়ে থাকে অনেকেই।”

কাসিমার মতো চরিত্র কিন্তু গ্রামগ্রামান্তরে এখনো ছড়িয়েছিটিয়ে আছে; যদিও আমরা বলছি গ্রাম দ্রুত বদলে যাচ্ছে, তথাপি গ্রামীণ কিছু জীবনাচার প্রবহমান আছে, থাকবে, যা তুলে এনেছেন গল্পকার তাঁর নিজস্ব চিন্তাশক্তি দিয়ে, নিজস্ব অবয়বে।

ঘটনাপ্রবাহ এবং চরিত্রকে অধিকতর জীবনঘনিষ্ঠ করে গড়ে তুলবার প্রয়োজনে লোকচরিত্রের মুখে তাদের ভাষার ব্যবহার কথাশিল্পের এক শৈল্পীক নিপুনতাও বটে। কিন্তু সেই ভাষার যথার্থ প্রয়োগ দেখাতে হলে লেখককে পারদর্শী হতে হবে সেই আঞ্চলিক ভাষায়। আঞ্চলিক শব্দ ও ভাষা ব্যবহারে কথাশিল্পী আজাদ বুলবুল বরাবরই ত্রুটিমুক্ত। বিশেষ করে তাঁর আলোচ্য গল্পগ্রন্থে অত্যন্ত সফলতার সাথে ব্যবহার হয়েছে চট্টগ্রামের ভাষা, নোয়াখালীর ভাষা এবং পাহাড়ী জনপদের ভাষা। অবশ্য এই তিন জনপদের সাথে লেখকের যাপিত জীবনের অনেকটা সময়ও আষ্টেপৃষ্ঠে লেগে আছে, উপরনু্ত কাজ করেছে লেখকের আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারের সচেতনতাও। বস্তুত আখ্যায়ন, পটভূমি এবং চরিত্র সে অঞ্চলের পরিবেশপ্রতিবেশকে অধিকতর জীবনঘনিষ্ঠ করতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারে। তাঁর অগ্নিকোন উপন্যাস এবং করোনাকালের ক্বাসিদা গল্পগ্রন্থ আঞ্চলিক ভাষার সফল ব্যবহারের কারণেও শিল্পোত্তীর্ণ সাহিত্য মর্যাদা লাভে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। কখনো কখনো আঞ্চলিক ভাষার খিস্তিখেউড় অশ্লীল মনে হতে পারে কিন্তু মনে রাখতে হবে সেই জনপদের যাপিত জীবনে ক্ষুধা বিরংসার সাথে নিম্ন শ্রেণির সাবলীল বাক্যালাপ থেকে সংলাপ পোশাকী হলে সেই সাহিত্য কখনো জীবনঘনিষ্ঠ শিল্প হতে পারে না। ‘গোয়ার’ গল্পে করোনাকালীন গন্ডগ্রামের অতিসাধারণ মানুষের চিন্তাচেতনার সাথে সাধারণ মুখের ভাষা ব্যবহারে গল্পটি অধিকতর শিল্পমন্ডিত হয়ে ওঠে। যেমন

‘‘হামদু মেম্বার পিঠে হাত বুলিয়ে বুঝায়, এরে গোঁয়ার, হাগলামী করিচ্চা। কতা কইলে হুনচ না; ঘরের ভিত্রে থচ না; সামাজিক দূরত্ব মানচ না; ঘটনা কী? রাতার চ্যাং দেখচৎনি কোনও। কান্ড। আই অসামাজিক অইন। হাডে গেছি, দোয়ানে গেচি। নডি হাড়াত টেন্ডলি কইচ্ছি। কুনুগারে চুম্মাত্ত খাইন, হোন্দের কাপড়ও টানি না। আন্নেরা শারীরিক দূরত্বেও কতা কইলে না অয় দূরে দূরে থাইকতাম।

তোয়ার মারফতি কতা ছাড়ি দ। সোজা করি কঅ, এতোকরি কওনের হরেও মুকে মাস্ক লাগচ না কিল্লাই?

মাস্ক লাগাইলে কী অইবো?

শইল্যে জীবানু ডুইকত্যে নঅ। করোনা নিয়ন্ত্রণ আইবো।’

পটভূমি অনুযায়ী এসব আঞ্চলিক সাবলীল বাক্যালাপের ফলে আখ্যানে আসে গতিময়তা আর গল্প হয়ে উঠে অধিকতর জীবনঘনিষ্ঠ; পাঠকেরও একনিষ্ঠতা আসে গল্পপাঠে।

এই গ্রন্থের শিরোনামকে প্রাধান্য দিয়ে মোট দশটি গল্পের মধ্যে আটটি গল্পই স্থান করে নিয়েছে বিশ্বব্যাপী অতিমারি কোভিড১৯ কে অনুষঙ্গ করে। গল্পকার চাইলে এই অতিমারি বিষয়ক গল্প দিয়েই বইটি সাজাতে পারতেন। কিন্তু দেখা গেলো দশটি গল্পের মধ্যে দুটি গল্পের অনুষঙ্গ, ঘটনাপ্রবাহ ভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে রচিত। গল্প দু’টি যথাক্রমে ‘ছৈয়া হাগলার হাক’ ও ‘শেখের কিল্লা’। দু’টি গল্পেরই পটভূমি স্বাধীনতা পরবর্তী স্বপ্নভঙ্গের সামাজিক প্রেক্ষাপট। গল্পকারের ভাষায়– “শৈয়ালের শঙ্কা মাথায় নিয়ে রাজাকার আলবদর, শান্তিকমিটির যে লোকগুলো লুকিয়ে চুরিয়ে দিন কাটাতো তারাই এখন তর্জনগর্জন দেয়। বিচার, মালিসে মুরব্বি সেজে বিসমিল্লাহর জোয়ারে ভাসতে শুরু করে। ছৈয়দ পাগলার মতো আউলবাউলদের নাকানি চুবানি দিতে নতুন শরিয়তি ফতোয়া জারি করে। (ছৈয়া হাগলার হাকঁ)

এই গল্পের স্থান, ভাষা ও বলার ভঙ্গিতে গল্পকারের স্বকীয়তা অক্ষুন্ন থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী সমাজ বাস্তবতার এক সুনিপুন চিত্র প্রতীকী চরিত্র ছৈয়দ হাগলার মধ্য দিয়ে উদ্ভাসিত হয়েছে। গল্পকারের সূক্ষ্ম উপস্থাপন যেন এই সময়ে সত্য কথা উচ্চারণ কোনো সাধারণ মানুষ নয়, ছৈয়দ পাগলারাই কেবল বলতে পারে– ‘‘কিন্তু ছৈয়দ পাগলার মুখ বন্ধ করবে এখন মর্দ এ তল্লাটে আছে কি কেউ? মুখ তার আলগাই থেকে যায়। মুজিব হত্যকারীদের শাপ শাপান্ত করা দিয়েই শুরু হয় তার দিন।” পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের সাথে সাথে বদলে যায় মানুষের চিরচেনা আচরণও। একমাত্র চরিত্র বদলাতে পারে না। ছৈয়া পাগলা। বস্তুত কথাকার ‘ছেয়া হাগলার হাঁক’ গল্পে মানুষের প্রতিবাদ করবার যেই সাহস নেই তা একজন পাগলের জবানিতে প্রতিবাদ করে প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থাকে ব্যঙ্গ করেছে। গল্পের সমাপ্তিও ঘটে পাগলের ক্ষোভ ও বিদ্রুপের মধ্য দিয়ে– ‘ছৈয়দ পাগলা গলা কাঁপিয়ে বলছে ‘শেখ সাব যেই দ্যাশঅ বাঁচি থাকতো হারে নঅ, হেই দ্যাশো ছৈয়া হাগলার হাঁক ছাড়নের দরকার কী?’

পরবর্তী গল্প ‘শেখের কিল্লা’ ও একই পটভূমি, অনুষঙ্গ, স্থান ও ভাষা প্রয়োগের ক্ষেত্রে এক নিপুন কারিগর যেন গল্পকার নিজেই। এক ঐতিহাসিক ঘটনাকে উপজিব্য করে রচিত গল্পের পটভূমি নেয়াখালির রামগতি থানার পোড়াগাছার শেখের কিল্লা। দেশ স্বাধীনের মাত্র দুই মাসের মাথায় বঙ্গবন্ধু আসবেন রামগতি থানার পোড়গাছায়। এখবর শুনে চরের চাষাভূষাদের মনে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। জানা গেছে পানি সম্পদ মন্ত্রী খোন্দকার মোশতাক। সচিব মাহবুবুল আলম চাষী, রিলিফ কমিশনের রব চৌধুরী, ছাত্রনেতা আ. . ম আবুদর রবও তোফায়েল আহমদ নেতারা সফরসঙ্গী হবেন। গোর্কী বিধ্বস্ত চরের নদীভাঙা মানুষের ঘর ও জমি দেয়ার জন্য প্রেসিডেন্টের এই জরুরি সফর। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাত্র চল্লিশ দিনের মাথায় তাঁর রামগতি আগমনের বার্তায় কমরেড তোহার মতো চরের চাষারাও অবাক। ‘নেতা আইবো আঙ্গে গেরামে। মিটিং কইরবো কোনাই? স্টেজ হইবো কোনাই? — তাইলে আইয়েন। আমরা ব্যাগে মিলি মাটি কাডি। আই ক্ষেতরে উঁচা করি হালাই।’ যেই কথা সেই কাজ। অতি অল্পসময়ের মধ্যেই গ্রামের সকল শে্রিণর মানুষের উৎসাহে অতি অল্পসময়েই গড়ে ওঠা যেই উঁচু স্থান তা ঐতিহাসিকভাবে হয়ে যায় ‘শেখের কিল্লা’। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পনেরই আগস্টের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে হলে পরে সেই ঐতিহাসিক শেখের কিল্লাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে উঠে পড়ে লাগে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা একাত্তরের পরাজিত দেশীয় দোশরেরা। তাদের কার্যকলাপের নিখুঁত বিবরণ যেন এই গল্প।

পটভূমি, ঐতিহাসিক স্থান, স্থানীয় মানুষের ভাষা ও বর্ণনাকৌশলে এই গল্পটি সমকালীন সমাজ প্রেক্ষাপটের এক নিখুঁত শৈল্পিক দলিলও বটে। তবে গল্পের পটভূমি, সময় ও অনুষঙ্গকে প্রেক্ষিত করে ‘শেখের কিল্লা’ বড় গল্পটি হয়ে উঠতে পারতো একটি উপন্যাসও। অথবা ‘শেখের কিল্লা’ শিরোনামে হতে পারতো এ ধারার গল্পগুলোকে নিয়ে একটি গল্পগ্রন্থও। এধরনের একটি বিষয় ও পটভূমিকে নিয়ে চমৎকার গল্পটি গল্পকার আজাদ বুলবুল কেন যে করোনাকালীন গল্পের ভেতরে গ্রন্থভুক্ত করলেন তা খানিকটা ভাবিয়ে তোলে বৈকি!

কথাশিল্পের এক অপরিহার্য বাহন হচ্ছে বাস্তবতা। একজন শিল্পী তার শিল্প রচনায় কোনোক্রমেই বাস্তবকে পরিহার করতে পারে না। বস্তুত শিল্পকলার সাথে বাস্তবতার সংযোগ সাধনের মধ্য দিয়ে কতটা জীবন ঘনিষ্ট সাহিত্য নির্মিত হতে পারে তা নিয়ে সাহিত্য সমালোচকের মাঝে বিভিন্ন মতবাদ থাকতেই পারে। তবে একথা সবাই প্রায় মানেন যে, তত্ত্বকে বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে অভিব্যক্ত না করা পর্যন্ত শিল্পে সফলতা আসে না। যেবিষয়ে কথাকার আজাদ বুলবুল অতিমাত্রায় সচেতন।

গত একদশকে কথাসাহিত্যিক আজাদ বুলবুলের সৃষ্টিশীলতায় আমরা উল্লেখযোগ্য মাত্রার সৃজনকলা লক্ষ্য করি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নদী ও জীবনঘনিষ্ঠ কাহিনী নিয়ে ‘হালদা’ চলচ্চিত্র যা আন্তর্জাতিক ভাবেও প্রশংসিত। গত শতকের তিরিশের দশকের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা সূর্য সেনের ঘটনা প্রবাহকে উপজীব্য করে ঐতিহাসিক বিয়োগাত্মক ‘উপন্যাস অগ্নীকোণ’ এবং সর্বশেষ সারা বিশ্বকে চমকে দেওয়ার মতো মহামারি কোভিড১৯ কে উপজীব্য করে গল্পসমূহ ‘করোনাকালের ক্বাসিদা’ এসব সৃষ্টিশীলতার শৈল্পিক বিবেচনায় বলতে পারি আজাদ বুলবুল তাঁর মননশীল প্রবন্ধ, গবেষণার পরে আমাদের সৃজনশীল কথাসাহিত্যে অত্যন্ত জোরালোভাবে প্রবেশ করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশুধু লেখা প্রকাশ করলেই লিটলম্যাগের কাজ শেষ হয়ে যায় না
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে ২০ হাজার মিটার চরঘেরা জাল জব্দ