আগ্রাবাদ এক্সসেস রোড এবং কে – এল ব্লকের কিছু রোডে স্প্রিড ব্রেকার অতি জরুরি

এস এম মোখলেসুর রহমান | বৃহস্পতিবার , ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৭:১৬ পূর্বাহ্ণ

নগরীর অন্যতম ব্যস্ত রোড আগ্রাবাদ এক্সসেস রোড। প্রতিদিন এই রোডে শত শত গাড়ি যাতায়াত করে। সংস্কারের পর বর্তমানে এই রোডে গাড়ি চলাচল করছে দ্রুত গতিতে। প্রায় ১২০ ফুট প্রশস্ত এই রোডে পথচারী পারাপারে খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। চোখের পলকে কোনদিক দিয়ে গাড়ি আসে বুঝা মুশকিল। বিশেষ করে মোড় গুলোতে বেশি সমস্যা হয়। সংস্কারের পর এই রোডে কোনো স্প্রিড ব্রেকার না বসানো তে সমস্যাটা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। সবচাইতে বেশি সমস্যা হচ্ছে বড়পুল মোড়ের একটু আগে পাঁচতলা নামক জায়গার মওলানা সিএনজির সামনে। এখানে চারদিক থেকে গাড়ি আসাতে রাস্তা পারাপারে মারাত্মক সমস্যা হয়। এই জায়গায় স্প্রিড ব্রেকার বসানো অতি জরুরি। দুর্ঘটনা হঠাৎই হয়। কিন্তু সতর্ক থাকতে হয় সব সময়ে। তো কোনো সময়ে একটু অমনোযোগী হলেই নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা সবাইকে দুর্ঘটনায় পরতে হবে। তাই দুর্ঘটনা ঘটার আগেই এই জায়গায় স্প্রিড ব্রেকার বসানোর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া বড়পুল মোড়, বেপারি পাড়ার মোড়, ছোটপুল ব্রিজ এবং পুলিশ লাইনের সামনে স্প্রিড ব্রেকার খুব প্রয়োজন।
অন্যদিকে আগ্রাবাদ এক্সসেস রোডের পাশেই অবস্থিত চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহৎ আবাসিক এলাকা হালিশহর কে-এল ব্লক। এখানেও বর্তমানে জাইকার অধীনে রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। কোথাও ১ ফিট , কোথাও ২ ফিট পর্যন্ত রাস্তা উঁচু করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর অধীনে নতুন ভাবে বড় করে নালাও তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যে রাস্তার কাজ প্রায় ৭০-৮০ ভাগ সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু নালার কাজে ধীর গতি হচ্ছে। যে সব রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে সেখানে এখন দ্রুত গতিতে কার, মোটরবাইক সহ বিভিন্ন গাড়ি চলাচল করছে। এখানেও স্প্রিড ব্রেকার অতি জরুরি। বিশেষ করে এল ব্লকের ফ্লাওয়ার ফ্লো স্কুলের সামনে এবং কফি শপের পাশে মোড় গুলোতে স্প্রিড ব্রেকার খুব প্রয়োজন। এছাড়া কে ব্লকের ৭ থেকে ১০ নম্বর গেইটের ভেতরের বিভিন্ন রোডেও স্প্রিড ব্রেকার খুব প্রয়োজন। বিকেল বেলায় এখানে এলাকার কোমল মতি ছেলে মেয়েরা সাইকেল চালায়। তাই পূর্বের ন্যায় এই সমস্ত জায়গায় স্প্রিড ব্রেকার বসানোর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আশা করি কর্তৃপক্ষ দ্রুত উদ্যোগ নিবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনা মহামারী থমকে দিয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে
পরবর্তী নিবন্ধকাল আজকাল