আখ মাড়াই বন্ধ থাকছে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ চিনিকলে

| রবিবার , ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ

লোকসান কমাতে চলতি মাড়াই মওসুমে রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি চিনিকলের মধ্যে ছয়টি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই খবরে ওই সব কারখানার শ্রমিক-কর্মকর্তাদের মধ্যে চাকরিচ্যুতির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আপাতত তাদের বেতন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন-বিএসএফআইসি। খভর বিডিনিউজের।
চলতি মাসের শুরুতে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের চিঠি বৃহস্পতিবারই সংশ্লিষ্ট মিলগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পৌঁছে গেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পাবনা সুগার মিল, শ্যামপুর সুগারমিল, পঞ্চগড় সুগার মিল, সেতাবগঞ্জ সুগারমিল, রংপুর সুগার মিল ও কুষ্টিয়া সুগার মিলে উৎপাদন কাজ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএসএফআইসির চেয়ারম্যান সনৎ কুমার সাহা। তিনি বলেন, চিনিকলগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে দীর্ঘ দিন ধরে লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই ‘সংস্কার ও আধুনিকায়নের’ উদ্দেশ্যেই কারখানাগুলো আপাতত বন্ধ করা হয়েছে।
কয়েকজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে চিঠিতে চিনিকলের উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাতে সংস্কার কিংবা আধুনিকায়নের কথা বলা হয়নি। তবে বেতন অব্যাহত রেখে কেবল উৎপাদন বন্ধ রাখলেও ‘কয়েক কোটি টাকার’ লোকসান ঠেকানো যাবে বলে জানান তারা।
অধিক লোকবল, মেশিনের দক্ষতা নষ্ট হওয়া, কাচামালের ঘাটতি, দীর্ঘ দিন জমতে থাকা ব্যাংক ঋণের সুদ ও বছরের প্রায় ১০ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকাসহ নানা কারণে প্রতি বছরই প্রায় হাজার কোটি টাকা লোকসন গুনছে রাষ্ট্রায়ত্ত ১৫টি চিনিকল। এসব কারণে বেসরকারি রিফাইনারিতে উৎপাদিত সাদা চিনি বাজারে প্রতি কেজি ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকার মধ্যে পাওয়া গেলেও সরকারি চিনিকলগুলো উৎপাদিত চিনির দাম পড়ে যাচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। ঋণজালে জর্জরিত কারখানাগুলো সময়মতো আখচাষীদের পাওনা পরিশোধ করার সক্ষমতাও হারাতে বসেছে। বিগত কয়েক বছরে মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া ভর্তুকির টাকা দিয়ে মাড়াই মওসুমের নানা সঙ্কট উৎরাতে পারলেও গত অর্থবছরে সেই ভর্তুকিও কমিয়ে দিয়েছে সরকার। বিএসএফআইসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯৭০ কোটি টাকা লোকসান গুনেছে চিনিকলগুলো। বিগত পাঁচ বছরে জমতে থাকা লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯৭৬ কোটি টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআপত্তিকর মন্তব্যে সতর্ক করবে ইউটিউব
পরবর্তী নিবন্ধবেঙ্গুরা ক্রীড়া সমিতির মাসব্যাপী প্রতিযোগিতা