আখাউড়া-আগরতলা ট্রেন চলাচল শুরু জুনে

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২০ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৭:০০ পূর্বাহ্ণ

আগামী বছরের জুনের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। প্রকল্পটি বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি চালু হলে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যও বাড়বে। চাহিদা বিবেচনায় এ পথে যাত্রীবাহী ট্রেনও চলবে। আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ হবে। জুনের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা ও আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

প্রকল্প পরিচালক সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে স্লিপার, রেললাইনসহ দরকারি সব সরঞ্জাম প্রকল্প এলাকায় চলে এসেছে। মাটির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে। রেলপথ নির্মাণের কাজ করছে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। চতুর্থ দফায় বাড়ানো আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ৩০ জুন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা।

গত ১১ ডিসেম্বর রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার শিবনগর এলাকায় ‘আখাউড়া-আগরতলা ও আখাউড়া-লাকসাম রেললাইন প্রকল্প’ পরিদর্শন করেছেন। প্রকল্পে এই পর্যন্ত চার দফা সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় সেতু নির্মাণের কাজ সব শেষ হয়ে গেছে। এখন অ্যাপ্রোচিংয়ের কাজ চলছে। আগামী জুনের মধ্যে আখাউড়া-লাকসাম রেললাইন উদ্বোধন করবেন বলে পরিদর্শনকালে রেলমন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এসময় প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিতেও সন্তোষ প্রকাশ করেন রেলমন্ত্রী।

জানা গেছে, করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের কাজের মেয়াদ চার দফায় বেড়েছে। যা শেষ হচ্ছে আগামী বছরের জুন মাসে। এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রায় ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে দাবি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের। এটি চালু হলে রেলপথেও আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচিত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি বাংলাদেশের সাথে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর রেল যোগাযোগ চালু হবে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আখাউড়া থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেঙমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সাথে চুক্তি হয়। দুইদেশের এই রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। প্রকল্পটি (বাংলাদেশ অংশ) বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রকল্পের কাজ শুরু করে। প্রথম দফার বর্ধিত মেয়াদে শেষ না হওয়ায় পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বাড়ে প্রকল্পের। এভাবে চার দফায় বাড়ানো মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের জুন মাসে। আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক (বাংলাদেশ অংশ) প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিয়া।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশারজায় দুর্ঘটনায় রাউজান প্রবাসীর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধপরের বিশ্বকাপেও খেলবেন মেসি?