হামলায় আহত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) শিক্ষার্থী মাহাদি আকিবের শারীরিক অবস্থার আরো কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। মস্তিস্কে অস্ত্রোপচারের পর গত শনিবার থেকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন মাহাদি আকিব। আইসিইউ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রঞ্জন কুমার নাথ গতকাল আজাদীকে বলেন, তার (আকিবের) শারীরিক অবস্থা আরো কিছুটা ইমপ্রুভ করেছে। আজ (সোমবার) সে একটু উঠে বসেছিল। মোটামুটি রেসপন্স করছে। আস্তে আস্তে কথা বলারও চেষ্টা করছে। মুখে খাবার দেয়া হয়েছে। লিকুইড (তরল) জাতীয় খেতে পারছে। সবমিলিয়ে অনেকটা ইমপ্রুভড বলা যায়। আমরা আশাবাদী।
তবে মানুষজন বেশি ভিড় করছে জানিয়ে আইসিইউ বিভাগের প্রধান বলেন, আইসিইউতে বাইরের লোকজন অ্যালাউ না। কারণ, এখানে (আইসিইউতে) ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকে। কিন্তু আকিবকে দেখতে নিয়ম না মেনে অনেকেই আইসিইউতে ভিড় করছে। খুব বেশি লোকজন আসছে। তাদের বুঝানোও যাচ্ছে না। এটা কিন্তু রোগীদের জন্যও ভালো হচ্ছে না। তাই আমাদের অনুরোধ, মানুষজন যাতে এভাবে আইসিইউতে ভিড় না করে।
এদিকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় এবার পাল্টা মামলা করেছে ছাত্রলীগের অপর পক্ষ। চমেক ছাত্রাবাসে দুই ছাত্রলীগ কর্মীর উপর হামলার অভিযোগে নগরীর চকবাজার থানায় এ মামলা করা হয়েছে। সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী ও চমেক শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান (২২) এ মামলার বাদি। মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস জাহান মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ অক্টোবর রাত ১১টায় চমেক প্রধান ছাত্রাবাসে চাপাতি, হকিস্টিক, কিরিচ নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে কয়েকজনের উপর অতর্কিত হামলা করে উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারীরা। হামলায় মাহফুজুল হক ও নাইমুল ইসলাম নামে নাছির অনুসারী ছাত্রলীগের দুজন কর্মী আহত হয়।
আহত দুইজন চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার রাতের এ ঘটনার জের ধরে শনিবার সকালে চমেক প্রধান ফটক সংলগ্ন এলাকায় মাহাদি জে আকিবের উপর হামলা করে নাছির অনুসারীরা। এমবিবিএস ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিব উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। মাহাদির উপর হামলার ঘটনায় শনিবার রাতেই নওফেল অনুসারী তৌফিকুর রহমান বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে আসামি করা হয় ওই মামলায়। আসামিরা সবাই সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।
