আইনি জটিলতায় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আনা যাচ্ছে না

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ জন দেশের বাইরে পালিয়ে

| সোমবার , ১৫ আগস্ট, ২০২২ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি বর্তমানে দেশের বাইরে পালিয়ে আছেন। আইনি জটিলতা এবং কারো কারো অবস্থান নিশ্চিত করতে না পারায় আত্মস্বীকৃত এই খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না। পলাতক ৫ জনের মধ্যে দুজনের অবস্থানের তথ্য জানা গেছে। বাকি তিনজন কোথায়, কোন দেশে পালিয়ে আছেন তার নিশ্চিত কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই। অবস্থান জানা দুজনকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। তবে, ওইসব দেশের আইন বঙ্গবন্ধুর এই আত্মস্বীকৃত খুনিদের ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবর বাংলানিউজের।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করছে। কিন্তু দুয়েকটি দেশের, বিশেষ করে আমেরিকা ও কানাডার সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের দেশে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আইন নেই। এ কারণে তারা এদের ফেরত দিতে চায় না। তারা মানবতার কথা বলে, অথচ এ জঘন্য হত্যাকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ফেরত দিচ্ছে না। এটা খুবই দুঃখজনক।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হলেন নুর চৌধুরী, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন, খন্দকার আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও রাশেদ চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুর আরেক আত্মস্বীকৃত খুনি আবদুল মাজেদ দীর্ঘদিন ভারতে পালিয়ে ছিলেন। তাকে সেখান থেকে এনে ২০২০ সালের ৫ মে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে, নুর চৌধুরী কানাডায়, খন্দকার আব্দুর রশিদ পাকিন্তান বা আফ্রিকার কোনো দেশে অবস্থান করছেন বলে ধারণা করা হয়। শরিফুল হক ডালিমের অবস্থান সম্পর্কেও নিশ্চিত তথ্য নেই। তিনি পাকিস্তান, লিবিয়া বা স্পেনে থাকতে পারেন। মোসলে উদ্দিনের অবস্থান সম্পর্কেও নিশ্চিত তথ্য জানা যায় না।

আওয়ামী লীগ ও সরকারে সংশ্লিষ্টরা জানান, এই খুনিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকার বিভিন্নভাবে তৎপর রয়েছে। বিশেষ করে যেসব দেশে তারা পালিয়ে আছেন, সেসব দেশের সঙ্গে এ বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও ওইসব দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হয়েছে। খুনিদের ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করছে। তবে এ নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতির কথা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থান ছিল সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র
পরবর্তী নিবন্ধবাঙালির শোকের দিন