অসাধারণ কূটনৈতিক মিশন শেষে বঙ্গবন্ধুর ঘরে ফেরা

ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলি | রবিবার , ১০ জানুয়ারি, ২০২১ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

বৃটেনের ক্লারিজেস হোটেল থেকে অতৃপ্ত স্বপ্নের অবারিত বাসনায় অবগাহিত বাঙালির নেতা শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর আগে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারির নীরব শীতার্ত রাত্রি গেছে বিভীষিকা থেকে মুক্তির। পাকিস্তান থেকে লন্ডনের পথে আকাশের ধোঁয়াশা-কুয়াশার মেঘমালায় পূর্ণ নিঃসীম নীলিমার শীতার্ত পথের উদ্বিগ্ন যাত্রী তিনি। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ভুট্টোর সাথে শেষ বাক্য বিনিময়, শেষ অনুরোধ প্রভৃতির মধ্য দিয়ে বিমানে ওঠা। সাথে তরুণ আইনজীবী ডঃ কামাল হোসেন।
২৮৯ দিনের অনিশ্চিত অন্ধকার কারাবাস অবসান হয়েছে। দুঃখ দুর্দশাগ্রস্ত ৫১ বছরে ভগ্ন শরীর। ওজন কমেছে অনেক। প্রথমে জানতেই পারেননি কোথায় যাচ্ছেন। বাঙালির সান্নিধ্যের স্বপ্নে দেহমন ও মনন অতৃপ্ত উত্তেজনায় আপ্লুত। দীর্ঘ রাজনৈতিক কঠিন পথের যাতনা, পীড়ন, দুর্ভোগ, দুর্ভাবনা আচ্ছন্ন করে রেখেছে ভাবনার মননকে। প্রিয় স্বদেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার উত্তেজনা, উদ্দীপনা, উন্মত্ততায় আবেশিত চেতনা। স্বপ্ন, স্বপ্ন বাস্তবায়নের তৃপ্তি, রাজনৈতিক জীবনের চাওয়া পাওয়া, হিসাব নিকাশ সবকিছুর মিশ্র অভূতপূর্ব অনুভূতি, সুখ-শঙ্কা সাথে নিয়ে দীর্ঘ বিমান যাত্রা।
উম্মুখ, উন্মুক্ত পৃথিবীর গণমাধ্যম, ইলেকট্রনিক মাধ্যম এবং উৎসুক মানুষের উষ্ণ, আবেগ-অনুভূতি, উচ্ছ্বাস। সবকিছুই এখন বিভিন্ন রং ও আবেশে তাঁর মনকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। তার উপর বাঙালি জাতিসত্তার বিশাল ভার এবং সেই ভার বহনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শংকা, সংশয়, পথচলার ভাবনা। মুজিবের দেশে ফেরার প্রতিটি ক্ষণ ছিল কূটনৈতিক আবহ আচ্ছাদনে আবৃত। সারা দুনিয়ার রাষ্ট্রসমূহের অবস্থান, অবস্থিতি, সামনের দিনগুলো সহযোগিতা প্রভৃতি। শত্রু-মিত্রের মনস্তাত্ত্বিক মেরুকরণ, বাছাই, অভিব্যক্তি তাঁকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে প্রতিক্ষণ।
ভাবনার দীর্ঘ পথেই অবশেষে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ। ক্লারিজেস হোটেলে বিশ্রাম। বাঙালি রাষ্ট্রদূতের সাথে সংলাপ, মতবিনিময়। ব্রিটিশ সরকারের উষ্ণ আতিথেয়তা।
লন্ডনে অতৃপ্ত, অস্থির রাত কাটিয়ে ৯ জানুয়ারি ১৯৭২ সালের ভোর ছয়টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে উপস্থিত বাঙালির প্রাণের নেতা মুজিব। তিনি বসে আছেন হিথরো বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জের এলিয়ক এন্ড ব্রাউনস্যুইট এ। তাঁকে বিদায় জানাতে এয়ারপোর্টে অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে উপস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের আপা বি পন্ত। ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের হেড অফ ইন্ডিয়ান ডেস্ক এর আয়ান সাদারল্যান্ড।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী বাঙালির নয়নমণি মুজিবের নিরাপত্তা এবং নিরাপদ যাত্রা নিয়ে দারুণভাবে উদ্বিগ্ন। এজন্য প্রথমে তিনি ভারতের একটি ভিআইপি বিমানের ব্যবস্থা করেন মুজিবের জন্য। বাঙালির প্রাণ প্রিয় নেতাকে তা জানিয়ে দেয়া হয়।
কিন্তু বিচক্ষণ কূটনীতিক এবং সফল নেত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী কোনোভাবেই নিশ্চিত হতে পারছিলেন না, নিরাপদ দীর্ঘ এই যাত্রা পথের সংকট, নিরাপত্তা, সংশয় থেকে। মুজিবের সাথে এই মহীয়সী নেত্রীর কথা হয়।
উদ্বিগ্ন ইন্দিরা গান্ধী মুজিবকে দ্বিতীয়বার ফোন করেন এবং এয়ার ইন্ডিয়ার ভিআইপি ফ্লাইটটির বিষয়ে তাঁর পরিবর্তিত সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এখানেও তিনি উর্বর কূটনীতির অবতারণা করেন। ইন্দিরা গান্ধী যথেষ্ট উদ্বিগ্ন এবং ভীত ছিলেন এই ভেবে যে, এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটিতে শত্রুপক্ষের কোন এজেন্ট নির্বোধ ফাঁদ পাতার চেষ্টা করে ফ্লাইটটি ধ্বংস করে দিতে উদ্যোগী হতে পারে। জীবিত মুজিবের গুরুত্বকে, মুজিবের নেতৃত্বকে, মুজিবের দেশপ্রেম এবং দেশের মানুষের উম্মুক্ত অপেক্ষাকে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়ে বিকল্প চিন্তা করেন। দীর্ঘ নয় মাসের সফল অভিযাত্রাকে তিনি সফল হবেই সম্পাদন করতে চাচ্ছিলেন।
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দূরদর্শিতা এবং সিদ্ধান্ত পরিবর্তন তাঁর সহজাত প্রবৃত্তির অংশ। স্বাধীন বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তিনি কোন প্রকার ঝুঁকি নিতে চাইলেন না। বন্ধুত্বের নিখুঁত, নিগূঢ়, অকৃত্রিম প্রকাশ। মুজিবের সাথে সাথে শত্রু-মিত্র সবাই তাঁর দিকেও তাকিয়ে ছিল অন্তর্দৃষ্টি এবং বাস্তব দৃষ্টি দিয়ে। তিনি মুজিবকে উষ্ণ আতিথেয়তা দেয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ এর কাছে রয়াল এয়ারফোর্সের একটি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করলেন। তাঁর দৃষ্টিতে এটি অধিক নিরাপদ বিবেচিত হচ্ছিল। এখানে তিনি একটি উর্বর কূটনীতিরও সফলতা চাইছিলেন।
তখনও ব্রিটিশ সরকারের সাথে নব জন্মা বাংলাদেশের কূটনৈতিক কোন সম্পর্ক স্থাপিত হয় নি। নতুন করে জন্ম নেয়া একটি বাংলাদেশের সাথে বৃটেনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন জরুরি। মুজিবের সাথে সাথে অকৃত্রিম বন্ধু ইন্দিরা গান্ধীও চাইছিলেন তা। এই কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের একটি বীজ বপিত হলো তাতে। প্রোটোকলের শর্তেই মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর প্রস্তাব গ্রহণ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ। ব্রিটিশের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর এ প্রস্তাবের সারাংশ বুঝেছিলেন এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার বাসনা তাঁর মনেও সুপ্ত ও সক্রিয় ছিল।
পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে এই দুই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের শেখ মুজিবের সরকারের ঘর গোছানোর জন্য, প্রস্তুত করার জন্য মনস্তাত্ত্বিক এবং কূটনৈতিক সমর্থন-সহযোগিতা দিয়ে গেছেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার আপা বি পন্ত ফোনে মুজিবের সাথে ইন্দিরা গান্ধীর আলাপ করিয়ে দেন। প্রায় ত্রিশ মিনিটের এই আলোচনায় কুশল বিনিময় ছাড়াও ছিল উদ্বেগ, অনুশোচনা, কৃতজ্ঞতা এবং প্রাথমিক কূটনীতির কথা। ‘বাংলাদেশের মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে অধীর আগ্রহে তাঁকে দেখার জন্য উত্তেজনা নিয়ে অপেক্ষা করছে’- ইন্দিরা গান্ধী এ কথা মুজিবকে জানান। একই সাথে ইন্দিরা গান্ধী তাঁকে নয়া দিল্লী ঘুরে যাওয়ার উষ্ণ, উচ্ছ্বসিত, অভিভূত এবং গভীর আন্তরিকতা নিয়ে আমন্ত্রণ জানান। মুজিব অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
এভাবেই মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দানকারী বৃটেনের স্বীকৃতির ভিত্তি রচিত হয়ে গেল। ভারতের পক্ষে মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশে রয়াল এয়ারফোর্সের কমেট জেট এ ১৩ ঘণ্টা সফরসঙ্গী হয়েছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার দ্বিতীয় প্রধান শংকর নারায়ন। বাংলাদেশের জনগণের নয়ন মনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিরাপত্তা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেয়া হয় এই কূটনীতিককে। তিনিও ছিলেন আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত, আপ্লুত, গর্বিত। মুজিবের সাথে শংকর নারায়ণের পূর্ব পরিচয়ও ছিল।
বিমানে মুজিবের পাশেই বসেছিলেন শংকর। আয়ান সাদারলান্ড এটির ব্যবস্থা করেন। মুজিবের দেশে ফেরা, নতুনভাবে দায়িত্ব গ্রহণের উত্তেজনায় অনেকটাই উত্তেজিত ছিল ভারতীয় কূটনীতিকরা, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে। এর বিভিন্ন দিকগুলো ছিল, কূটনৈতিকভাবে কোন ত্রুটি না থাকা। বিশ্বনেতার সফরটি নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত থাকা এবং বাঙালি ও বিশ্ব মানবতার সামনে একজন মুজিবের যথাযথভাবে উপস্থাপিত হওয়া।
হিথ্রো বিমানবন্দরের রাজকীয় বিমানে বসে স্বাচ্ছন্দ্য এবং কিছুটা উষ্ণ অনুভূতিতে আবেগিত, আবেশিত ছিলেন শংকর। সামনে টেবিলের মুজিবের ধূমপানের ঐতিহাসিক পাইপ এবং সুগন্ধি এরিনমোর। বিমান তখনো ভূমিতে। সুযোগ বুঝে সাদারলান্ড শংকরের সাথে বাঙালির প্রাণপ্রিয় নেতার একটি ছবি ধরে রাখার অনুমতি নিলেন এবং পাইলটকে তা জানিয়ে দিলেন। এই ঐতিহাসিক সফরে সাদারল্যান্ড আরো বেশি দায়িত্বশীল, ঐতিহাসিক উত্তেজনায় উত্তেজিত এবং ব্যস্ত ছিলেন।
যাত্রা শুরুর পূর্ব মুহূর্তে তিনি শংকরকে যথারীতি ‘যাত্রা শুভ হোক’ , ‘আনন্দময় হোক’ বলে ইশারায় নিপীড়িত মানুষের এই নেতার খবর রাখতে ইঙ্গিত দিয়ে নামতে উদ্যত হলেন। শংকরও নিশ্চয়তার ইশারা দিলেন। বিমান ভূমি ত্যাগ করল। উম্মুক্ত আকাশ, সীমাহীন নিঃসীম নীলিমা। দৃষ্টি, সৃষ্টি আর স্রষ্টার নৈপুণ্যে সাজানো প্রতিটি নিসর্গ।
পানাহার চলতে থাকল। মুজিব যথারীতি বেশ কয়েকবার এরিনমোরে উত্তাপ সংযোজন করলেন। দেখা গেছে তিনি যখন ভাবনায় আচ্ছন্ন থাকতেন, তখন এই এরিনমোর তাঁকে উদার, অবাধ সংগ দিত। আকাশপথে উত্তেজনার মাঝেই পথ কমতে থাকল। একটু একটু আলোচনা হতে থাকলো।
বাঙালির নেতা অজানা শঙ্কায়, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় মাঝে মাঝে ভাবনায় নিমজ্জিত হলেন। গভীর ভাবনা। এক পর্যায়ে বামপাশে বসা শংকরকে অনুরোধ করলেন, ‘মিসেস গান্ধী যেন খুব দ্রুত বাংলাদেশ থেকে তাঁর সৈনিকদের ফেরত নেয়’ – এই বার্তাটি পৌঁছাতে হবে খুব দ্রুত তাঁর কাছে। মিসেস গান্ধীর এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে তিনি বাংলাদেশের জনগণের কাছে উপস্থিত হতে চান।
উল্লেখ করা যায়, ইতিমধ্যেই ১৯৭২ এর ৩০ জুনের ভিতর ভারতীয় মিত্রবাহিনীকে ভারতে ফেরত নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছিলেন মিসেস ইন্দিরা গান্ধী। বাংলাদেশের মানুষকে এবং বিশ্ববাসীকে এই বলে তিনি নিশ্চিত করেছিলেন। বাঙালির নেতা চাইছিলেন, একত্রিশে মার্চের মধ্যেই অর্থাৎ তিন মাস আগেই তা সম্পাদন করতে।
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের আগেই এই বিমান কূটনীতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের বিচক্ষণতা, বাঙালি প্রীতির, বাঙালির প্রতি ভালোবাসার, অকুণ্ঠ, নিখাদ নেতৃত্বের উন্মুক্ত প্রকাশ। যা পরবর্তীতে তাঁর রাজনীতিকে অতিউচ্চে নিয়ে গেছে। বাঙালি জাতিসত্তাকে করেছে মহিমান্বিত।
মুজিবকে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে উজ্জ্বল আলোয় ঝলমল সকালে কলকাতার সু-স্বাদু বাঙালি মিষ্টি দিয়ে, গুড়ের সন্দেশ দিয়ে, রুচিশীল সিঙ্গারা এবং দার্জিলিংয়ের চা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। মিসেস ইন্দিরা গান্ধীও চাইছিলেন বৃটেনের স্বীকৃতি। ভারতীয় সেনাসদস্যের দেশে ফেরার সাথে এই স্বীকৃতির সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের স্বীকৃতিরও। মুজিব ইন্দিরা গান্ধির স্বাচ্ছন্দ্য সম্মতি নিয়ে এক ঢিলে তিনটি পাখি মেরে দিলেন সফল দূরদর্শী কূটনীতির মাধ্যমে, যথার্থ জননেতার অহংকার নিয়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সন্দেহ ও অহংকারের উচ্চাসন থেকে নিচে নামিয়ে আনলেন। একমত হলেন মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর সংসদীয় গণতান্ত্রিক সরকার পদ্ধতির সাথে।
‘একটি মুজিব সে যে জাগ্রত জনতার, সারা বিশ্বের বিস্ময় সে যে সবার অহংকার।’
অনেকের ভাষায় ফুটন্ত, বিস্ফোরিত গণজমায়েতে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় স্বাধীনতা সংগ্রাম, জয় ইন্দিরা গান্ধী, জয় স্বাধীন বাংলাদেশ- প্রভৃতি গগনবিদারী ঐতিহাসিক শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত পরিবেশে মুজিব বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলেন শীতের দুপুরের পরে।
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছাতে তাঁর অনেক সময় লেগে গেল। অশ্রুজলে সিক্ত হয়ে, সিক্ত করে নয় মাসের দুঃখ, বেদনা, ক্লান্তি, অবসাদের কথা বলে মুজিব জনগণকে কাঁদালেন, নিজে কাঁদলেন। বাংলাদেশের মানুষ অভিভূত হয়ে মুজিবকে গ্রহণ করল। যাত্রা হল নতুন বাংলাদেশের। শেখ মুজিবের বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের। জাতির জনকের বাংলাদেশের। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির বাংলাদেশের।
লেখক : মুক্তিযোদ্ধা, অধ্যাপক, কর্ণফুলী গবেষক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশ হতে দেশান্তরে
পরবর্তী নিবন্ধনির্বাচনী প্রচারণা