অর্থ পাচারের তালাশ করা ইসির ‘কাজ নয়’

লবিস্ট বিতর্ক

| শুক্রবার , ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অর্থ পাচারের তদন্ত করার কাজ তাদের নয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবিধানিক এই সংস্থার বৈঠক শেষে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার একইসঙ্গে বলেছেন, বিএনপির বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে ‘লবিস্ট’ নিয়োগে ব্যয়ের কোনো তথ্য তারা পাননি। খবর বিডিনিউজের।
বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যে এদিন ইসির সভায় বিএনপির আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন আলোচনায় ওঠে। গত ১৭ জানুয়ারি সংসদে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তিন বছরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি লবিস্ট ফার্মের পেছনে বিএনপি ‘২০ কোটি ডলার’ ব্যয়ের তথ্য দিয়ে তার তদন্ত দাবি করেন। বিষয়টি জানিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশন সচিবকে চিঠিও পাঠান, যার ধারাবাহিকতায় কমিশন সভার আলোচ্যসূচিতে বিএনপির আর্থিক খতিয়ান আলোচনায় আসে। ইসিতে নিবন্ধিত সব দলকে তাদের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষিত হিসাব দাখিল করতে হয়। সেই হিসাবে লবিস্ট নিয়োগের ব্যয় রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আওয়ামী লীগের নেতারা। সেই অর্থ কীভাবে পাচার হয়েছে, তাও জানতে চাইছেন তারা।
সিইসি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে কমিশন সভার পর ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, বিএনপি যে অডিট রিপোর্ট দিয়েছে তাতে এমন কোনো তথ্য নেই যে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগে কোনো অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদেশে অর্থ পাঠালে তা তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা ইসির নেই। কমিশন মনে করে, এটি ইসির আইনি কাঠামোর মধ্যে পড়ে না। এ প্রসঙ্গে ইসি সচিব আরও বলেন, তবে সরকারের যে সব এজেন্সি অর্থ পাচারের বিষয়ে তদন্ত করতে পারে, সেসব এজেন্স তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনকে দিলে তা ইসি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যেহেতু চিঠি দিয়েছিলেন, তাতে কমিশনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান ইসি সচিব।
তিনি বলেন, আমরা একটি পত্র পেয়েছি। সে পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের এ সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দেব। জামায়াতে ইসলামী যেহেতু ইসির নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়, তাই তাদের নিয়ে এ বিষয়ে ইসির কিছু করার নেই বলেও জানান তিনি।
ক্ষমতাসীন দলের অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির পক্ষ থেকেও পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগই লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই সংক্রান্ত নানা তথ্য উপস্থাপন করে বলেছে, বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদন্ত করুক।
দুই দলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থাকলেও কমিশন সভায় শুধু বিএনপির আয়-ব্যয়ের হিসাব আলোচনায় তোলা নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে ইসি সচিব বলেন, আগে এ ধরনের কোনো তথ্য তো এখানে ছিল না; বিষয়গুলো দেখতে ইসির সিদ্ধান্ত লাগবে, আলোচনার করেই পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলা একাডেমির নতুন সভাপতি সেলিনা হোসেন
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬