অপাঙক্তেয়

সৈয়দা আইরিন পারভিন | সোমবার , ৩১ মে, ২০২১ at ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

নৈতিক শিক্ষার অভাবে দিন দিন মানুষ অভদ্র এবং অবিনয়ী হচ্ছে। শুধু আইন প্রণয়ন আর তার প্রয়োগ এ জাতীয় অপরাধ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে না। এজন্য প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা। কিন্তু পণ্যভোজী ভোগবাদমুখর সভ্যতার যুগে নৈতিক শিক্ষা এ জোড়া শব্দটি একটা অবজ্ঞাসূচক প্রসঙ্গ। বর্তমানে বিনয়ী হওয়া অনেকের দৃষ্টিতে দুর্বলতা কারণ এটাই তাদের পারিবারিক শিক্ষা। ব্যক্তিগত, গোষ্ঠীগত, সমাজ জীবনে নৈতিক শিক্ষা প্রায় নিম্নপর্যায়ে। এ সম্বন্ধে কিছু বলতে তাই দ্বিধাগ্রস্ত। এই বিশ্বায়নের যুগে ভোগবাদী জীবন স্রোতে গা ভাসিয়ে এবং সনাতন ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে নির্বাসিত করে যে জীবনযাপনে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি, সেখানে নৈতিক শিক্ষার স্থান কোথায়? সেকেলে জীবনে প্রচলিত রীতি নীতি আচার-আচরণ পোষাক পরিচ্ছেদ সব হালে অপাংক্তেয়।
জীবনে উচ্ছৃঙ্খলতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মূলে আমরা নিজেরাই। পারিবারিক ও সমাজ জীবনের পরিমণ্ডল এবং মূল্যবোধগুলো সংরক্ষণের দায়িত্ব কিন্তু আমাদের। সেটি তখন সম্ভব হবে, যদি আমরা প্রাচীন প্রচলিত রীতিনীতি গুলো সেকেলে বলে জীবন থেকে একেবারে ঝেড়ে ফেলে না দিই। বর্তমানে এ নীতিবোধ ও নৈতিক শিক্ষা উপেক্ষিত বলে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে চলছে মৎস্যন্যায়। অটুট পারিবারিক বন্ধন, আল্লাহ ভয়, মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল, নিষ্ঠা ও আসক্তি, সংযত ও রুচিশীল পোশাক পরিচ্ছদ, সমাজচেতনা, সামাজিক বিধি-নিষেধ মেনে পারস্পরিক ব্যবহার, সহনশীলতা প্রভৃতি রীতিনীতি এককালে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে সামগ্রিকভাবে আদৃত হত, কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার বেড়াজালে সব ধুয়ে মুছে সাফ। যে যত বেশী আধুনিক সে ততো বেশি কালচারড।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া : বাঙালির জাতিসত্তা বিকাশের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক
পরবর্তী নিবন্ধআমরা করতে পারি জয়!