আমরা করতে পারি জয়!

হামিমা জামিল রুমা | সোমবার , ৩১ মে, ২০২১ at ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

একজন মানুষের প্রথম দায়িত্ব হলো নিজেকে ভালো রাখা ও নিজের খেয়াল রেখে পরিবারের সবার খেয়াল রাখা, যার জন্য যা করণীয় ঠিকমতো পালন করা।এখন নিজেকে কিভাবে ভালো রাখা যায় ওটা ভাবছেনতো! একদম সহজ, নিজেকে একটু সময় দিন আর নিজেকে নিজে বুঝিয়ে দিন, জীবনে আমরা যা চাইবো তাই পাবো এমনটা ভাবা ভুল, হয়তো যা পাইনি তাও একটা নেয়ামত আমাদের জীবনের কল্যাণের জন্য যা আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। অন্যের থেকে আশা করা ছেড়ে দিন। অন্যের সাথে কখনো নিজেকে তুলনা করবেননা ভুলেও। সবসময়ই সব পরিস্থিতিতে আলহামদুলিল্লাহ পড়ার অভ্যাস করুন। আমিতো সবার সম্মান ও ভালোবাসা পাবার যোগ্য, তাহলে কেনো আমি বারবার অবহেলিত হচ্ছি এই ভাবনা মাথা থেকে বের করে ফেলুন আর মাথায় সেট করুন আমিই সম্মান করবো, আমিই ভালোবাসবো,আমিই প্রয়োজনে বারবার নিচু হবো, কারণ আমি একজন শক্ত আত্মার মানুষ। আমার মধ্যে সেই গুণগুলো আছে যা দিয়ে সম্পর্ককে শক্ত করে বেধে রাখা যায়। ও করছে না আমি কেনো করবো এটা ভাবা বন্ধ করে নিজেই প্রথমে শুরু করুন। সম্পর্ককে জোড়ে রাখার শক্ত ঢাল হবো আমি- এটা ভাববেন। কারো থেকে কখনোই কিছু আশা রাখবেন না, শুধু নিজের চরিত্র ঠিক রেখে দায়িত্বটা ঠিকঠাক পালন করে যান, দেখবেন আপনার মন-মানসিকতা আস্তে আস্তে আপনাকে সাপোর্ট করছে, আপনি শত ত্যাগ করে আঘাত পেয়ে আর আগের মতো কষ্ট পাচ্ছেননা। আপনি যত ভালো ভাববেন আপনার কাজ তত সহজ হবে।এই দুনিয়া আজকে স্বার্থপরদের দখলে তাই মানুষ ভালো মানুষকে দুর্বল ভাবে। ভালো ভাবনা ভালো সৃষ্টির জন্ম দেয়! ভালো ভাবনা ভালো রাখতে সহায়তা করে! ভালো ভাবনা ভালো প্রজন্মের জন্ম দিতে সাহায্য করে। পৃথিবীতে কারো অভাবে কেউ বেশিদিন খারাপ থাকেনা দিন কেটে গিয়ে সময় বদলে নতুন সুন্দর দিন আসে জীবনে। তাই কিছু হারিয়ে যাওয়ার বিষয়কে আঘাত নয় শক্তি হিসেবে জীবনে প্রয়োগ করে আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে আমরা সবাই সক্ষম। খুব সহজ জীবনটাকে আমরা জটিল করে তুলি আজেবাজে চিন্তাচেতনা দিয়ে! যে আমি এখন বসে এই লিখা লিখছি সেই আমি জানিনা রাতের পর সকালটা দেখা নসীব হবে কিনা! তাহলে কেনো আমি জীবনের এই ছোট্ট সময়টা ভালোভাবে উপভোগ করবোনা? এখনো পর্যন্ত বেঁচে আছি এটাইতো অনেক বড় প্রাপ্তি আলহামদুলিল্লাহ। নিজেকে ভালোবাসুন, নিজেকে সম্মান করুন, নিজেকে নিজে দিনে অন্তত ৩ বার বলুন আমি বেস্ট, আমাকে দিয়ে সব ভালো কাজ সম্ভব। নিজেই নিজের অনুপ্রেরণার গল্প হবেন, নিজের জন্য নিজে বাঁচবেন। তারও বেশি পেরেশান হয়ে গেলে নীরবে দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহকে বলবেন হে আল্লাহ আমাকে ধৈর্য ধরার ক্ষমতা দেন সহ্য ক্ষমতা দেন, তাহলেই আর থামতে হবেনা আপনাকে। পিছনে কি হারিয়ে ফেলেছেন ওটা নিয়ে আর ভাববেন না, ওটাও একটা নিয়ামত ছিলো ভেবে সামনের ভালো দিনের জন্য কাজ করবেন, জীবনের কাজ সামনে এগিয়ে যাওয়া পিছনে পড়ে থাকা নয়। ভাবনাগুলো যদি এমন হয় জীবনে তাহলে কিসের ভয়! আমরা সবকিছুকেই করতে পারি জয়!

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅপাঙক্তেয়
পরবর্তী নিবন্ধনিকাহ রেজিষ্ট্রি ও দেনমোহর প্রসঙ্গে-২