অনেকদিন পর আবার বন্দুকযুদ্ধ রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারি নিহত

নাইক্ষ্যংছড়ি ও উখিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২২ অক্টোবর, ২০২০ at ৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের বাইশফাঁড়ি সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে মো. আদহাম (৩০) নামের রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারি নিহত হয়েছে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি তৈরি একনলা বন্দুক, ২ রাউণ্ড কার্তুজ ও ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি। বহুদিন পর আবার বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটল।
গতকাল বুধবার ভোরে সীমান্তের ৩৫নং পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে৷ নিহত রোহিঙ্গা তুমব্রু কোনাপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবুল হাশেমের ছেলে।এ খবর নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমদ। তিনি জানান, সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবার চালান আসার খবরে অবস্থান নেয় বিজিবি।এসময় ১০/১২জনের একটি দল মিয়ানমার থেকে আসতে দেখে বিজিবি তাদেরকে থামতে সংকেত দেয়। এসময় ইয়াবা কারবারিরা টহল দলকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করতে থাকে। জান-মাল রক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে বিজিবির টহলদল।
তখন অজ্ঞাতনামা ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পাহাড়ি জঙ্গলের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে পালিয়ে যায়। পরে টহলদল ঘটনাস্থল থেকে উক্ত রোহিঙ্গাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইয়াবা ও দেশে তৈরি একনলা বন্দুকসহ উদ্ধার করে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উদ্ধারকৃত ইয়াবা মূল্য প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
স্থানীয় ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ জানান, সীমান্তের এ পয়েন্টটি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত। সীমান্তের শূণ্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গাদের একটি অংশ এ কাজে জড়িত। বুধবারের ঘটনাটিও এর একটি অংশ। এসময় ১৮/২০ জনের চোরাকারবারীরা চোরাইপণ্য যথাক্রমে কফি,জাল,ইয়াবা,বিদেশি মদ পাচারের খবর পেয়ে বিজিবি অভিযান চালায়। তিনি শুনেছেন উক্ত ঘটনায় ১ জন চোরাকারবারী নিহত হয়। এতে স্থানীয়দের মাঝে কিছুটা আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি বিল্লাল হোসেন সিকদার জানান, এ বিষয়ে ৩৪ বিজিবি পক্ষ থেকে সকালে তাকে ফোন করে জানানো হয়েছে । তবে তারা এখনও মামলা দেন নি। তবে তারা বলেছেন, বন্দুক যুদ্ধের ঘটনাস্থল সীমান্তের ৩৪ ও ৩৬ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে। তারা মামলা প্রক্রিয়ায় এগুচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে কঙবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর রাশেদ সিনহা নিহত হওয়ার পর থেকে কথিত বন্দুকযুদ্ধ থমকে যায়। সেই থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত মাদক বিরোধী অভিযানে নিয়োজিত পুলিশ, র‌্যাব,বিজিবি বা অন্য কোন সংস্থার সঙ্গে আর কোন বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেনি।
টেকনাফের বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপের বির্তকিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় অনেক নিরপরাধ লোক হত্যার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ঘটনার পর থেকে মাদক তথা ইয়াবা বিরোধী অভিযানে অনেকটা ভাটা পড়ে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গাদের জন্য অনুদান চাহিদায় ঘাটতি ৪২০০ কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধ২২ বছরে ৩০ বার জেলে