অনুমোদন ছাড়া কোথাও পশুর হাট বসানো যাবে না। পশুবাহী কোন গাড়ি মূল সড়কে দাঁড়াবে না। হাটে সিসি ক্যামেরা ও জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন বসাবে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে মলম পার্টি ও জাল নোট চক্র যাতে সক্রিয় হতে না পারে সে জন্য সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে। এখন পর্যন্ত আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গতকাল চোরাচালান নিরোধ আঞ্চলিক টাস্কফোর্স ও বিভাগীয় আইন–শৃঙ্খলা কমিটির পৃথক সভায় এসব কথা বলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান। নগরীর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এ সভার আয়োজন করেন।
বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, পশু কোরবানির পরপর দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। চামড়ার পচন রোধে নিজেদেরকে লবণের ব্যবস্থা করতে হবে। চোরাচালান নিরোধ আঞ্চলিক টাস্কফোর্স ও আইন–শৃঙ্খলা কমিটির সভা ছাড়াও গতকাল আরো বেশ কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে, বেসরকারি পর্যায়ে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র সমূহ মরিটরিং সংক্রান্ত বিভাগীয় কমিটির সভা ও বিনিয়োগ ও ব্যবস্থা উন্নয়ন সহায়তা কমিটির সভা। এসব সভাতেও আসন্ন ঈদুল আযহা উদযাপন যাতে নির্বিঘ্নে হয়, যানজট ও জনভোগান্তি মুক্ত হয় সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন।
ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক, অস্ত্র চোরাচালান রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সড়ক পথের পাশাপাশি নৌপথেও টহল অব্যাহত রাখতে হবে। মিয়ানমারের কোনো নাগরিক বা রোহিঙ্গা যাতে নতুন করে এদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে জন্য কঠোর নজরদারি বজায় রাখার কথাও বলেন বিভাগীয় কমিশনার।
বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. আনোয়ার পাশা, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) এমএ মাসুদ, বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল এসএম শফিকুর রহমান, বিডার পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ। আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, লক্ষীপুরের জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, ফেনীর জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ–উল হাসান, কঙবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান পাটওয়ারী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের উপ–পরিচালক (স্থানীয় সরকার) শাহিনা সুলতানা। সভায় রেঞ্জ ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঈদুল আযহাকে ঘিরে আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। মাদকরোধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় থাকবে।