অনলাইন শপিংয়ে চাই কঠোর মনিটরিং

আজাদীর ফেসবুক লাইভে আলোচকরা

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

একমাত্র সচেতনতা এবং কঠোর মনিটরিংই পারে অনলাইন শপিংয়ের সম্ভাবনাকে রক্ষা করতে। যথোপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা এবং প্রতারণা ঠেকানো গেলে আগামী বছর দুয়েকের মধ্যে এই বাজারের আকৃতি কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। নানা ধরনের নিত্যনতুন প্রতারণার কবল থেকে রক্ষা করা না গেলে বিশাল এবং সম্ভাবনাময় বাজারটি ধ্বংস হয়ে যাবে। গতরাতে দৈনিক আজাদীর বিশেষ আয়োজন ‘আজাদীর সাথে’ ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে আলোচকেরা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হাসান আকবরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অংশ নেন অনলাইনে দেশী বিদেশী পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সুন্দরী’র স্বত্বাধিকারী তাখরীন খান, জিএনজি মেকাপ স্টোরের স্বত্তাধিকারী নওশিন আকতার চৌধুরী, দি রোসাডো স্বত্বাধিকারী নিশাত আনজুম এবং বিভিন্ন ধরণের খাবার দাবার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ঘরোয়া খানার স্বত্বাধিকারী সৈকত শুভ। আলোচকরা বলেন, অনলাইন ব্যবসার যাত্রা শুরু হয়েছে অনেক আগে। বিশ্বের নানা দেশে অনলাইন ব্যবসা বেশ পোক্ত ভিত পেয়েছে। তবে বাংলাদেশে ব্যবসাটির প্রত্যাশিত বিকাশ ঘটেনি বিগত কয়েক বছরে।
তারা বলেন, স্বাভাবিক সময়ে স্বাভাবিক বিকাশ না ঘটলেও করোনাকালে অনলাইন ব্যবসা জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে। কিন্তু একইসাথে শুরু হয়েছে প্রতারণা। বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্তভাবে ঘটছে নানা প্রতারণা। অত্যন্ত ছোটখাটো কিছু প্রতারণার ঘটনা এই খাতের হাজার কোটি টাকার বাজারকেই তছনছ করে দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্নকর্তা এবং আলোচকেরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণার ধরন এত ঠুনকো যে তা হাস্যরসের সৃষ্টি করলেও ব্যবসাটির সর্বনাশ করে দিচ্ছে।
অনলাইন ব্যবসায় ক্রেতারা যেমন পণ্যের অর্ডার করে তা গ্রহণ না করে ফেরত দেন, আবার বিক্রেতাদের কেউ কেউ প্রতারণা করেন। নিম্নমানের পণ্য একটি বলে অন্যটি গছিয়ে দেয়ার মতো জঘন্য ঘটনাও ঘটে। সবকিছু মিলে গুটিকয়েক মানুষের কারণে সম্ভাবনাময় এই খাতে তৈরি হচ্ছে আস্থার সংকট। মূলত এই আস্থার সংকটই এই খাতের বিকাশে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হয়ে উঠছে। আর এসব মিলিয়ে বহুমুখী সমস্যায় মার খাচ্ছে বড় সম্ভাবনার বিশাল এই বাজার।
ক্রেতা বিক্রেতার সচেতনতা এবং যথোপযুক্ত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এই সেক্টরটিকে রক্ষা করা দরকার বলে মন্তব্য করে আলোচকরা বলেন, বিশাল এই বাজারে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, হচ্ছে। ঘরে বসে পণ্য সরবরাহ পাওয়ার সুবিধাও পাচ্ছে মানুষ। শোরুম সাজানোর দরকার হচ্ছে না। নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না। বিদ্যুতের উপর চাপ কমছে। বিনিয়োগের পরিমাণ সহনীয় করছে। বিনিয়োগ কম হওয়ায় স্বল্প মুনাফায় মানসম্পন্ন পণ্য ক্রেতাদের হাতে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে। তারা বলেন, এটা বিশাল একটি কর্মযজ্ঞ, বিশাল নেটওয়ার্ক, বিশাল বাজার এবং সর্বোপরি বিশাল সম্ভাবনা। সবকিছু মিলে অনলাইন প্ল্যাটফরমকে কাজে লাগানো গেলে মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হবে। সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি। বেকারত্ব হ্রাসের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়নেও অনলাইন ব্যবসা বড় ভূমিকা রাখছে বলেও আলোচকেরা মন্তব্য করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছাত্রদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, গোলাগুলি
পরবর্তী নিবন্ধসিআরবি ধ্বংসের চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে