অগ্রণী ব্যাংক আছদগঞ্জ শাখার সাবেক ব্যবস্থাপকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

১৬৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৫ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ

মঞ্জুরিসীমা লঙ্ঘন করে ১৬৫ কোটি ৩৯ লাখ ৫৫ হাজার ৩৪৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অগ্রণী ব্যাংক আছদগঞ্জ শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্তকৃত ও বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) এম মর্তুজ আলী চৌধুরী এবং প্রিন্সিপাল অফিসার ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখাস্তকৃত) পলাশ রঞ্জন তালুকদারসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। বাকী দুইজন হলেন, মের্সাস জয়নাব ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মাহমুদ এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান রায়ান পিয়েরা নাহাস। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ মামলাটি করেন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল বারী। কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ঋণ মঞ্জুরিসীমা লঙ্ঘন করে ব্যাংকের ৯২ কোটি ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৪৬২ টাকা আত্মসাৎ করেন। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে সুদে-আসলে যা ১৬৫ কোটি ৩৯ লাখ ৫৫ হাজার ৩৪৭ টাকায় পরিণত হয়। দুদকসূত্র জানায়, মঞ্জুরিসীমা লঙ্ঘন করে অর্থ আত্মসাৎ করায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫/২ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। উল্লেখ্য, আসামিদের মধ্যে এম মর্তুজ আলী চৌধুরী বাঁশখালীর বড়ঘোনা এলাকার মৃত ফজল করিম চৌধুরীর ছেলে ও পলাশ রঞ্জন তালুকদার কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার কীর্তনখোলা এলাকার মৃণাল কান্তি তালুকদারের ছেলে। অন্যদিকে মেসার্স জয়নাব ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মাহমুদ এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারমম্যান রায়ান পিয়েরা নাহাস নগরীর কোতোয়ালী থানার জামাল খানের বাসিন্দা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধইতিহাস গড়া জয়ের স্বপ্ন টাইগারদের