৮ অনুষদে প্রার্থী ২২

চবির ডিন নির্বাচন হলুদ দলে বিদ্রোহী ৭ অংশ নিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত

চবি প্রতিনিধি | সোমবার , ২১ মার্চ, ২০২২ at ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ মার্চ। এবারের ডিন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত পন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দল, আওয়ামী লীগ-বামপন্থী শিক্ষক সমর্থিত হলুদ দল ও বিএনপি পন্থী আরেক অংশ জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। ৮ অনুষদে প্রার্থী রয়েছে মোট ২২ জন।
গতকাল রোববার ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেন রিটার্নিং অফিসার ও চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান। এর আগে গত ১৪ মার্চ ২৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে ২ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় দেখা যায়, হলুদ দলের ৮ জন, সাদা দলের ৩ জন, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের ৪ জন ও হলুদ দলের ৭ জন বিদ্রোহী প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। সর্বোচ্চ অংশগ্রহণে এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ছড়াছড়ি হলুদ দলের জন্য নেতিবাচক সংকেত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে বিএনপি-জামায়াত পন্থীরা সুবিধা পাবে বলে ধারণা তাদের।
চূড়ান্ত প্রার্থী : হলুদ দলের মনোনীত প্রার্থীরা হলেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. সুকান্ত
ভট্টাচার্য, বিজ্ঞান অনুষদে পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দীন নিজামী, সমাজবিজ্ঞান অনুষদে লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লাহ, আইন অনুষদে প্রফেসর মো. জাকির হোসেন, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে বর্তমান ডিন ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. রাশেদ মোস্তফা, জীব বিজ্ঞান অনুষদে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ড. মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন, মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদে ফিশারিজ বিভাগের প্রফেসর ও বর্তমান ডিন ড. মো. রাশেদ-উন-নবী।
হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে ইতিহাস বিভাগের ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক, বিজ্ঞান অনুষদে পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ও বর্তমান ডিন ড. মো. নাসিম হাসান ও অন্য বিদ্রোহী প্রার্থী ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদে নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. রহমান নাসির উদ্দীন, আইন অনুষদে প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. কাজী তানভীর আহাম্মদ, জীব বিজ্ঞান অনুষদে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে আরেকজন বিদ্রোহী প্রার্থী ও চবি আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
সাদা দলের প্রার্থীরা হলেন জীববিজ্ঞান অনুষদে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন, বিজ্ঞান অনুষদে রসায়ন বিভাগের ড. মো. আবদুল মান্নান। বাকি পাঁচটি অনুষদে প্রার্থী দেয়নি সাদা দল।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের প্রার্থীরা হলেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব চৌধুরী, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ড. আবু নছর মুহাম্মদ আবদুল মাবুদ, জীব বিজ্ঞান অনুষদে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদে ইনস্টিটিউট পরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলাম। বাকি তিন অনুষদে প্রার্থী দেয়নি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। সমাজবিজ্ঞান অনুষদে মো. সফিকুল ইসলাম মনোনয়ন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকতা এস এম মনিরুল হাসান আজাদীকে বলেন, আগামী ৩০ মার্চ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ২৪ ও ২৭ মার্চ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে অগ্রিম ভোট দেওয়া যাবে।
হলুদ দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী আজাদীকে বলেন, সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা প্রার্থী দিয়েছি। এরপর যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন দলের সাংগঠনিক শৃক্সখলার জন্য প্রার্থীতা বাতিলের অনুরোধ করেছি। একজন করেছে। আসলে এরকম অতীতেও হয়েছে। এখনও হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাহাবুদ্দীন আহমদকে বিনম্র শ্রদ্ধায় শেষ বিদায়
পরবর্তী নিবন্ধকর্মকাণ্ডে, জীবনাচারে চট্টগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছেন এম এ মালেক