ঘূর্ণিঝড় রেমালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে গতকাল রোববার বেলা ১২টা থেকে ১৭ ঘণ্টা বন্ধ ছিল চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সার্বিক কার্যক্রম। এতে একটি হজ ফ্লাইটসহ বাংলাদেশ বিমান ও বিভিন্ন ফ্লাইট অপারেটরের দেশি–বিদেশি ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ছিল। আজ সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ ছিল বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে বিমাবন্দরের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, আবহাওয়া বিভাগের ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের প্রেক্ষিতে গতকাল বেলা ১২টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত বিমানবন্দরের সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় কার্যক্রম বন্ধ রাখার সময়সীমা ভোর ৫টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ জানান, বিমানবন্দরের সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ করে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভোর ৫টার পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে রানওয়ে খোলাসহ কার্যক্রম শুরু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বেলা ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পাঁচটি আন্তর্জাতিক এবং ৮টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। আজ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এগুলো রিসিডিউল করা হবে।
এদিকে আবহাওয়ার কারণে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ হওয়ায় হজযাত্রীসহ বিপুল সংখ্যক যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন।