সুসন্তান শুধু পরিবারের নয় জাতীয় সম্পদ

আবদুল কাদের | বুধবার , ১২ নভেম্বর, ২০২৫ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

সন্তানকে সুসন্তান হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে সর্বোচ্চ দায়িত্ব ও কর্তব্য পিতা মাতার উপরে অর্পিত থাকে। পিতামাতার জীবনের বড় স্বপ্ন থাকে আপন সন্তানদের আদর্শবান সন্তানে তৈরি করা। এতে কারো স্বপ্ন পূরণ হয় আবার কারো স্বপ্ন থেমে যায়। বিজ্ঞানের প্রযুক্তি যুগে এ দুনিয়ার প্রতিযোগিতায় আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষার দিকে ধাবিত করা। ধর্মীয় শিক্ষা হলো সুশিক্ষা অর্জনের মহৎ শিকড়। অনেক বাবা সন্তানের প্রতি আন্তরিক দায়িত্ববান না হয়ে স্থাবর ও অস্থাবর ধন সম্পদের পেছনে দৌড়ান। পরিবার থেকে বেড়ে ওঠা পরিবারের শিক্ষাটা সন্তানের জীবনে গুরুত্বপূর্ণএর প্রভাব সন্তানের জীবনকে প্রভাবিত করে। কোন মা বাবার সন্তানেরা পরিবারের সুশিক্ষিত সন্তান হলে তা পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য সম্পদ হয়ে ওঠে। আর সন্তান মানুষ করতে না পারলে তথা কুসন্তান হয় সে পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য চরম অভিশপ্ত হয়। সন্তানকে মানব সম্পদ গড়ে তোল পিতামাতার এটি একটি বড় দায়িত্বের মধ্য পড়ে। সন্তান যতবেশি সুশিক্ষিত হবে জাতি ধারাবাহিকভাবে ততো বেশি উন্নতি হবে। মা বাবার অবাধ্য সন্তাতানেরা পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধা সম্মানের জায়গাটা তারা হারিয়ে ফেলে। মা বাবার প্রতিটি সন্তান পিতামাতার শ্রেষ্ঠ সম্পদ। ছেলে মেয়েরা অভিশপ্ত জীবন বয়ে আনে মা বাবারা এমন সন্তান কখনো প্রত্যাশা করে না। সন্তানদের দেশের সুনাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে তাদের অভিশপ্ত জীবনে ভুগতে হয়। সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করলে সন্তানের পরবর্তী প্রজন্মকে সেই সুসন্তানই আলোর পথ দেখাতে পারে। সুশিক্ষিত সন্তানেরা শুধু পরিবারের সম্পদ না তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্পদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজীবনের আসল পরিচয়
পরবর্তী নিবন্ধদূরের টানে বাহির পানে