ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে অংশে প্রায় ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে এ যানজট তীব্র আকার ধারণ করতে দেখা যায়। প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত এই যানজট স্থায়ী হয়। এতে দূরপাল্লার হাজারো যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই মাস ধরে মহাসড়কে কয়েকটি স্পটে নিয়মিত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট হলেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কেউ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তবে হাইওয়ে পুলিশ বলছে, সড়কের বিভিন্ন স্পটে যত্রতত্রভাবে গাড়ি পার্কিং করার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেইনে সড়কে এমন যানজট দেখা দেয়। স্থানীয় এবং বিভিন্ন যানবাহনের গাড়ি চালক ও যাত্রীরা জানান, মহাসড়ক দখল করে প্রতিদিন দাঁড়িয়ে থাকে পণ্যবাহী যানবাহন। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়াসহ কয়েকটি স্পটে যানজটে আটকা পড়ছে। হাইওয়ে পুলিশ রাত দিন যানজট নিরসনে তৎপরতা চালিয়ে গেলেও সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা শতশত যানবাহনকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার ও শিল্পনগরী সীতাকুণ্ড উপজেলার ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল অন্যান্য অঞ্চল থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। তার সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে মহাসড়কে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং। এই দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ হাসপাতাল থেকে শুরু করে কুমিরা পর্যন্ত অন্তত ১৬ কিলোমিটার সড়কে আটকে পড়ে বাস যাত্রী অলিউল্লাহ কেনু। তিনি বলেন, প্রতিদিন আমরা দেখতে পাই কয়েকটি স্পটে সড়কের উভয় পাশে দাঁড়িয়ে থাকে বিভিন্ন যানবাহন। যার ফলে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয় বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি মো. আব্দুল মোমিন বলেন, প্রতিদিন মহাসড়কে যত্রতত্র ভাবে গাড়ি পার্কিং করার কারণে যানজট নিরসনে অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে।