সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ৬ষ্ঠ দফায় টানা ৩ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের দ্বিতীয় দিন আজ মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি’র কর্মকর্তা এবং পুলিশসহ আরো ১৪ স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল আড়াইটা পর্যন্ত সময়ে এ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
সকালে মামলার ৪৪নং স্বাক্ষী গ্রামীণফোন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আহসানুল হকের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
এদিন আরো সাক্ষ্য দেন মোবাইল অপারেটর রবি কর্মকর্তা সৈকত আহমেদ শিপলু, সিআইডি’র রাসায়নিক পরীক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পিংকু পোদ্দার, কন্সটেবল শওকত হোসেন, এসআই বাবুল মিয়া, রাসেদুল হাসান, মো. হাসেম, এপিবিএন-এর এসআই মুছা, আবদুল জলিল, আবদুল্লাহ আল হাসান, এএসআই মামুন মিয়া, এসআই নাজমুল হাসান ও সুমন কান্তি। পরে তাদেরকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ মামলার ১৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, আলোচিত এ মামলায় এ পর্যন্ত ৫৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। মামলায় মোট ৮৩ জন স্বাক্ষী রয়েছে। আগামীকাল বুধবার (২৭ অক্টোবর) পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ জুলাই ঈদুল আযহার আগের রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়ার এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে খুন হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনার ৫ দিন পর ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা তদন্তের পর গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
গত ২৭ জুন ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামীর বিরুদ্ধে মামলাটির বিচারের জন্য অভিযোগ গঠন করা হয়।
এরপর গত ২৩ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রথম দফায় টানা তিনদিনে মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস এবং প্রত্যক্ষদর্শী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছিল।
