সাত ঘণ্টা বৈঠক করেও চূড়ান্ত হয়নি সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের একক কাউন্সিলর প্রার্থী। ফলে গতকাল বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বৈঠক কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়।
জানা যায়, পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯টি ওয়ার্ডে ৫৮জন আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে আ.লীগ সমর্থিত একাধিক প্রার্থী প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করছেন। আজ বৃহস্পতিবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।
আওয়ামীলীগ সমর্থিত একক প্রার্থী নির্ধারণে গত মঙ্গলবার সীতাকুণ্ডস্থ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে পৌর আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থেকে একক প্রার্থী ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু সেখানে আ.লীগ নেতারা রাত ১০টা পর্যন্ত কাউন্সিলর প্রার্থীদের সাথে কথা বলেও একক প্রার্থী নির্ধারণে সমঝোতায় পৌঁছতে পারেননি। ফলে আ.লীগ নেতৃবৃন্দ গতকাল বুধবার চট্টগ্রামে পুনরায় বসে প্রার্থী ঘোষণার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী গতকাল চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ দিদারুল আলম, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দীন চৌধুরী, সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক এস এম আল মামুনসহ জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। তবে তাঁরা একক প্রার্থী নির্ধারণে সমঝোতায় পৌঁছতে পারেননি।
বৈঠকে উপস্থিত আ.লীগের এক নেতা জানান, স্থানীয় নেতৃত্বের দলাদলির কারণে একক প্রার্থী নির্ধারণে বেগ পেতে হচ্ছে। ৬টি ওয়ার্ডে একক প্রার্থী নির্ধারণে ঐক্যমত হলেও তিনটি ওয়ার্ডে প্রার্থী চূড়ান্ত করা যায়নি। উপজেলা আ.লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় এমপি সহনশীল হলে দলীয় একক প্রার্থী নির্ধারণ সম্ভব। অন্যথায় পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদ উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতা বলেন, গতকাল সভায় দলের একক কাউন্সিলর প্রার্থী চুড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে একক প্রার্থী নির্ধারণে সমঝোতা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।