সম্মানিত হলেন কবি খুরশীদ আনোয়ার

গৌতম কানুনগো | সোমবার , ৩০ জুন, ২০২৫ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

কবি খুরশীদ আনোয়ার দীর্ঘ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে কবিতাযাপন করছেন। শব্দ চয়নে, বিষয় বিন্যাসে, নির্মানশৈলীতে, চিত্রকল্পে তাঁর কবিতা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল। সাহিত্যসংস্কৃতি, ইতিহাসঐতিহ্য বিষয়ক সংগঠন চট্টগ্রাম একাডেমি তাঁকে সম্মানিত করেছে গত ২২ জুন ‘মমতাজ সবুব সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করে। মমতাজ সবুর স্মরণে লেখকের সামগ্রিক মূল্যায়নস্বরূপ চট্টগ্রাম একাডেমি প্রতি বৎসর এ পুরস্কার প্রদান করে আসছে। ঘড়ির কাঁটায় সময় ঠিক ৭.১৫ মিনিট। এমন সময় মাইক্রোফোন হাতে নিলেন কবি ও শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ। তিনি মিলনায়তনে উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। সভাপতিত্ব করেন সাহিত্যিক ড. আনোয়ারা আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন কবি অরুণ শীল। তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দেন শিক্ষাবিদ ড. মোহীত উল আলম, কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, কবি অভীক ওসমান, কবি হোসাইন কবির, প্রাবন্ধিক ড. শ্যামলকান্তি দত্ত, কবি স.. বখতেয়ার, কবি খালেদ হামেদী, অধ্যাপক কানাই দাশ, যাত্রাশিল্পী মিলন কান্তি দে, কবি ইউসুফ মুহাম্মদ এবং নাট্যজন সনজীব বড়ুয়া। মমতাজ সবুর পরিবারের পক্ষে বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ তহুরীন সবুর ডালিয়া এবং লায়ন এ. এইচ. এম কফিলউদ্দীন। খুরশীদ আনোয়ারের কবিতা ‘শান্তির ফেরিওয়ালা’ কবিতাটি আবৃত্তি করে অনুষ্ঠানে ভিন্নমাত্রা যোগ করেন খ্যাতিমান আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমু এবং আয়মান রউফ।এসময় মিলনায়তনে ছিল পিনপতন নীরবতা। উপস্থিত দর্শকরা মুহুর্মুুহু করতালির মাধ্যমে তাঁদেরকে অভিনন্দন জানান। প্রফেসর ডঃ মোহিতউল আলম বলেনকবিরা আসলে মেধাবী হয়। কবিদের কাব্যশক্তি থাকতে হবে। কবি বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেনকবির মৃত্যু দুই ধরনের, একটি শারীরিক মৃত্যু আর একটি কাব্যজগতের মৃত্যু। খুরশীদ আনোয়ার সমকালের কবি, তাঁর মৃত্য হয় নি। কবি খালেদ হামেদী খুরশীদ আনোয়ার রচিত কবিতা পাঠ করে কবিকে অভিনন্দন জানান। মিলনায়তনে ছিল উপচেপড়া ভীড়। অনেককে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখা যায়। মঞ্চে উপবিষ্ট সভাপতি এবং অন্যান্য অতিথিরা কবির হাতে সনদপত্র, সন্মাননা স্মারক ও নগদ অর্থ তুলে দেন। উপস্থিত সকলে এই অসাধারণ মুহূর্তটা যার যার মুঠোফোনে ধারণ করতে ব্যস্ত ছিলেন। ফটো সাংবাদিকদের চারিদিকে ক্যামেরার ক্লিক ক্লিক আওয়াজ সত্যিই অসাধারণ এক অনুভূতি। অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে কবি খুরশীদ আনোয়ার বলেন, কবিদের জন্য সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন দুটি চোখ। কবিতা উপলব্ধি করাটা বড় বিষয়। আমার কাছে এ পুরস্কার অনেক আনন্দদায়ক মনে হচ্ছে। কবির নাতনী কবির রচিত ‘মেঘ’ ছড়াটি পাঠ করে। সভাপতির বক্তব্যে ড. আনোয়ারা আলম বলেন, মমতাজ সবুর ছিলেন একজন রত্নগর্ভা মা। আমাদের সমাজে নারীদের এখনো যথার্থভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। তিনি আরো বলেন কবি খুরশীদ আনোয়ার একজন প্রচারবিমুখ ও মানবিক মানুষ। তিনি কবিকে অভিনন্দন জানান। উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বেতার ব্যক্তিত্ব ফজল হোসেন। তাঁর বক্তব্যের পর অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপত্র
পরবর্তী নিবন্ধবোধিবৃক্ষ তলে