আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আমরা যে দেশে বাস করি সেখানে ক্ষুদ্র ভূখণ্ড বিশাল জনসংখ্যা । প্রত্যেক শিশুরই অধিকার আছে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান,ও শিক্ষার। সবার জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা কারো একক প্রচেষ্টায় সম্ভব নয়। এদেশে প্রাচীন কাল থেকেই প্রচলিত আছে নানা শ্রেণি পেশার লোকজন নিজের চেষ্টায় প্রাইমারি স্কুলের বা মাদ্রাসা স্থাপন করে পরে সেটা সরকারের অধীনে হস্তান্তর করে সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য। বর্তমানে দেশে এক লক্ষ ৩৪ হাজার ১৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ হাজার ৫৯৩টি সরকারি। বাকি স্কুল গুলো নিবন্ধিত, এনজিও পরিচালিত বা ব্যক্তি মালিকানাধীন। প্রত্যেকটা স্কুলেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন যত্ন সহকারে। এমন অনেক স্বনামধন্য প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে অনেক অভিভাবক অক্লান্ত পরিশ্রমে সন্তানকে ভর্তি করান। জাতি এখন একটা দুঃসময় পার করছে। সরকারি-বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। কিন্তু সরকার নিয়ন্ত্রিত স্কুলে শিক্ষকবৃন্দ ঠিক সময়ে বেতন ভাতা পেলেও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলো বাড়ি ভাড়া, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির বিলই পরিশোধ করতে না পেরে শিক্ষকের বেতন নয়, শিক্ষক ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে বসেছে। শিক্ষার কোন বিকল্প নাই, তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটেল বাংলাদেশ গঠন করেছেন। এদেশের ৯ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করে। শিক্ষা সমপ্রসারে অনন্য প্রচেষ্টা হতে পারে ইলেকট্রনিক মিডিয়া। যে শিশুটি মোবাইলে কার্টুন দেখত সে মোবাইলে লেখাপড়া শিখলে কেন দোষণীয় হবে? অনলাইনে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়া যায়, প্রাইমারিতে বাধা কোথায়? শিশুদের লেখাপড়া চর্চায় রাখতে হয়। অভ্যাস মানুষের দাস। একবার লেখা দশবার পড়ার সমান। এ সমস্ত নীতি বাক্য মাথায় রেখে বিতর্কে না নেমে প্রত্যেকে প্রত্যেকের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই। নিজে সম্মানের সাথে বাঁচি, অন্যকে বাঁচতে সাহায্য করি। এ দুঃসময়ে শিশুদের শিক্ষা অব্যাহত রেখে শিক্ষকদের জীবিকা নির্বাহে সহযোগিতা করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব।