“শাব্দিক অর্থে নীতিহীন কাজই দুর্নীতি”

রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব

রাঙামাটি প্রতিনিধি | রবিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:৩৮ অপরাহ্ণ

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সত্যেন্দ্র কুমার সরকার বলেন, “দুর্নীতি দমন আইনে দুর্নীতি শব্দটি নিয়ে পরিষ্কার কোনো ব্যাখ্যা না থাকলেও আমি মনে করি শাব্দিক অর্থে নীতিহীন কাজই দুর্নীতি। দুর্নীতি প্রতিরোধ করার জন্য দণ্ডবিধি দেওয়া আছে যা দুর্নীতি দমন কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত।”

আজ রবিবার (২১ নভেম্বর) সকালে রাঙামাটিতে জেলা পরিষদের সভাকক্ষে (এনেক্স ভবন) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক দিনব্যাপী এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সত্যেন্দ্র কুমার সরকার।

তিনি বলেন, “আজকের কর্মশালাটি মূলত দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয় নিয়ে আলোচনা। আপনারা জানেন আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছি। তাই আমাদের সকলেরই অফিস-আদালতে গুড প্র্যাকটিস করা প্রয়োজন।”

তিনি বলেন, “প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতির হার অনেকটা কমানো যায়। আবার মাঝে মাঝে প্রযুক্তির অপব্যবহারেও দুর্নীতি হয়ে থাকে। পুরোপুরি আইন দিয়ে দুর্নীতি রোধ সম্ভব নয়। তাই আমাদের আত্মশুদ্ধি দরকার যা আমাদের পরিবার থেকে শুরু করা উচিত। আবার পরিবারে বাবা-মাদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও ভূমিকা রয়েছে। আমাদের দৃষ্টিকোণ পরিবর্তন করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোরও দৃষ্টিকোণ পরিবর্তন করতে হবে। যদি আমাদের অফিসে দুর্নীতি দেখতে পাই তাহলে তা প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধি করেছেন যা দিয়ে আমরা অনায়াসে স্বচ্ছলভাবে চলতে পারি। আবার সরকারি চাকরিজীবীদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। চাকরিতে অবসরে যাওয়ার পরেও তারা পেনশন নিয়ে ভদ্রভাবে চলতে পারে। তারপরও কেন আমাদের সরকারি দপ্তরে দুর্নীতি হবে। অফিসে কিছু কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। আগে নিজেকে ভালো হতে হবে। সেবাকে সহজ করা হোক। যারা ভালো করছে তাদের পুরস্কার প্রদান করা হোক।”

অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব উদয়ন দেওয়ান, পরিষদের সদস্যবৃন্দ, হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তা এবং পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের উপকারভোগীগণ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় ইটভাটাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে আবারও বন্যহাতির মৃত্যু