রাশিয়ার পারমাণবিক আইসব্রেকার ‘বিজয়ের ৫০ বছর’–এ চড়ে উত্তর মেরু অভিযানে যাচ্ছেন বাংলাদেশ, রাশিয়া, ভারত, চীন, হাঙ্গেরি, উজবেকিস্তান, বেলারুশ, কাজাখস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ক্যামেরুন, মঙ্গোলিয়াসহ আরব কয়েকটি দেশের ৭০ জন তরুণ। তাদের সঙ্গে থাকবে বিখ্যাত বিজ্ঞানী, পারমাণবিক শিল্প বিশেষজ্ঞ, আর্কটিক গবেষক এবং বিজ্ঞান অ্যাক্টিভিস্টদের একটি দল। খবর বাংলানিউজের।
সম্প্রতি বিজ্ঞান ও শিক্ষামূলক প্রকল্প ‘আইসব্রেকার অব নলেজ’–এর পঞ্চম সংস্করণের চূড়ান্ত রাউন্ডের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সারা বিশ্বের ত্রিশ হাজারের অধিক ১৪–১৬ বছরের শিক্ষার্থীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটম এই প্রকল্পের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। তরুণ প্রতিভাদের খুঁজে বের করে তাদের মেধার বিকাশে সহায়তা ও ক্যারিয়ার গাইডেন্স প্রদানের লক্ষ্যে আইসব্রেকার অব নলেজের প্রবর্তন করা হয়। রসাটমের প্রকল্পটির পঞ্চম বছর পূর্তি এবং রাশিয়ার পারমাণবিক আইসব্রেকার বহরের ৬৫ বছর চলতি বছর একই সঙ্গে পালিত হচ্ছে।
রসাটমের মানবসম্পদ বিষয়ক উপ–মহাপরিচালক এবং চূড়ান্ত জুরির চেয়ারম্যান তাতিয়ানা তেরেন্তিয়েভা বলেন, তরুণদের জন্য উত্তর মেরু অভিযান আয়োজনের সক্ষমতা রাশিয়া ছাড়া এই মুহূর্তে আর কোনো দেশের নেই। এ বছরের প্রতিযোগিতাটি ছিল অত্যন্ত কঠিন এবং হাজার হাজার মেধাবী প্রতিযোগীর মাঝ থেকে স্বল্প সংখ্যক বিজয়ীকে বেছে নিতে বিচারকদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। প্রকৃতি বিজ্ঞান, যেমন রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, গণিতশাস্ত্র, জীববিজ্ঞান বিষয়গুলোতে সেরা মেধাদের আমরা বিজয়ী হিসেবে বেছে নিয়েছি।
রসাটমের মহাপরিচালক আলেঙি লিখাচেভ বলেন, এ বছর পঞ্চমবারের মতো উত্তর মেরু অভিযান একটি আন্তর্জাতিক রূপ পেতে যাচ্ছে। রুশ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রসাটম পার্টনার দেশগুলোর শিক্ষার্থীরাও এবার ‘বিজয়ের ৫০ বছর’ পারমাণবিক আইসব্রেকারে পৃথিবীর সর্ব উত্তর স্থানে ভ্রমণ করবে।