যখন আমি মৌন হয়ে একলা ঘরে বসে থাকি
বদ্ধ ঘরের জানলা খুলে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন আঁকি
আমার সাথে স্বপ্ন আঁকে মন খোলা এক দূরের পাখি
সেই পাখিটা আকুল হয়ে করে শুধু ডাকাডাকি।
তখন আমায় সঙ্গ দিতে ছুটে আসে বইয়ের মেলা
নানা রূপে নানা রঙে দেয় জুড়িয়ে মজার খেলা।
চোখের তারায় প্রদীপ জ্বালে ‘অগ্নিবীণার’ আলোর শিখা
হিরের মতো ঝিলিক মারে চর্যাপদের হরেক লিখা।
গল্প, ছড়ায় ওঠেন মেতে যুদ্ধজয়ী সপ্ত বীর
হাছন, লালন, আমানত শাহ্ আরো থাকেন কত পীর।
দুলকি নাচে কর্ণফুলি, হালদা পাড়ের দস্যি মেয়ে
খুব খুশিতে ওঠে মেতে একলা একা আমায় পেয়ে।
রবি ঠাকুর, দুখুমিয়া মুগ্ধতারই আবেশ ঢালে
হিমেল হাওয়ার পরশ বুলায় দুরন্ত এই মনের পালে
সুজন এবং রাশেদ যখন ছন্দ সুরে আমায় ডাকে
সুরের মেলায় মন হারাতে কে আমাকে বেঁধে রাখে!
জানলা গলে রোদের মেয়ে রোজই আসে আদর দিতে
ফুরফুরে অই মিষ্টি হাওয়া দেয় নাচিয়ে রঙিন ফিতে।
এলিজাবেথ, ডালিয়া আর আনোয়ারা আপার সাথে
দিই কাটিয়ে একলা দুপুর নতুন দিনের আলো হাতে।
বদ্ধ ঘরে আমি তো নই একলা একা দুখী মেয়ে
আমি কী আর একলা থাকি এমনতরো সঙ্গী পেয়ে!