ভিসার টাকা ফেরত চাওয়ায় ডেকে নিয়ে হত্যা

বাঁশখালী প্রতিনিধি | শনিবার , ১৯ অক্টোবর, ২০২৪ at ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ছনুয়াতে ভিসার টাকা ফেরত চাওয়ায় ছুরিকাঘাতে মনজুর আলম প্রকাশ বাবুল (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে। এসময় পিতাকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন ছেলে মোহাম্মদ আরকান (১৬)

গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে ছনুয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ছেলবন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায়, ছনুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মধুখালী এলাকার মৃত দলিলুর রহমানের ছেলে মনজুর আলম বাবুলকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে ভালো চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নেন ছনুয়ার ১নং ওয়ার্ডের ছেলবন এলাকার মাস্টার মোহাম্মদ আলমের ছেলে মো. সোহেল রানা (২৬)। পরে মনজুর আলম বাবুল সৌদি আরবে যান। কিন্তু সেখানে ভালো চাকরি না পাওয়ায় তিন মাসের মাথায় তিনি দেশে ফিরে এসে মামলা করেন।

পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে শুক্রবার সকালে মনজুর আলম বাবুলকে ডেকে নেন মাস্টার মোহাম্মদ আলম। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সোহেল হাতে থাকা ছুরি দিয়ে বাবুল ও তার ছেলে আরকানকে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলে বাবুল লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত বাবুলের ছেলে আরকান পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। নিহত মনজুর আলম বাবুল অভিযুক্ত সোহেল রানার চাচাতো বোনের স্বামী। সোহেল চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র।

পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বাবুলের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত সোহেল রানাকে গণপিটুনি দিলে বাঁশখালী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে সোহেলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহতের ছোট ভাই হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ মনছুর আলম বলেন, আমার বড় ভাই সোহেল থেকে তিন বছর আগে ৩ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে একটি ভিসা কিনে নেন। তবে ভিসা ক্রয় করার সময় কথা ছিল ওমান গিয়ে ভালো চাকরি দেবে। কিন্তু তা না করে সেখানে বেকার বসিয়ে রাখে। একবেলা খেতে দিলেও দুই বেলা খেতে দিতো না। এমনকি বাসার যে ওয়াইফাই লাইন ছিল তাও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। যাতে বাংলাদেশ পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে না পারে।

এদিকে নিহত মনজুর আলমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, ছুরিকাহত মনজুরকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। মারা যাওয়ার আগে তার সাথে হওয়া ঘটনা পরিবারের সদস্যদের কাছে বলে যান। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রক্রিয়াধীন চলছে বলে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শুধাংশু শেখর হাওলাদার দৈনিক আজাদীকে জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএক মণ ওজনের ক্যাশ ভল্ট কাঁধে করে নিয়ে গেল চোর
পরবর্তী নিবন্ধধর্মের সওদাগররা জাতিকে বিভক্ত করে নেতৃত্ব দিতে চায় : খসরু