চট্টগ্রামে দুদকের দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, নয় কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ড ভোগের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। গতকাল রোববার চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসি আবদুল মজিদ এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী মো. লিয়াকত আলী কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার চর কাকারা এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু। তিনি বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় আসামিকে সাজা ও জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন বলেও জানান এই আইনজীবী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী মো. লিয়াকত আলী ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, চকরিয়া শাখার সাবেক এভিপি মো. মোজাম্মেল আলম চৌধুরী পরস্পর যোগসাজশে দেশের অভ্যন্তরে একস্থান থেকে অন্যস্থানে ৮ কোটি ৮৯ লাখ ২৩ হাজার ৪৬৫ টাকা স্থানান্তর করার সত্যতা পায় দুদক। এ ঘটনায় দুদক, চট্টগ্রামের উপ–সহকারী পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বাদী হয়ে ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন দুদকের সাবেক উপ–সহকারী পরিচালক (বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত) অজয় কুমার সাহা। ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে মো. লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা। একই সঙ্গে মামলায় আনা অভিযোগের দায় থেকে মো. মোজাম্মেল আলম চৌধুরীকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
২০১৭ সালের ১৪ মার্চ মো. লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলায় বিচার শুরু হয়। অভিযোগ গঠনের সময় বিচারের দায় থেকে বাদ যায় মো. মোজাম্মেল আলম চৌধুরী। মামলায় মোট ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল রায় ঘোষণা করেন বিচারক মুনসি আবদুল মজিদ।