কর্ণফুলীতে বিয়ের ছয় মাসের মাথায় শাহিন আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূকে গলায় উড়না প্যাঁচিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ নকিব (২৫)। স্বামী-স্ত্রী দুইজনই চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের সৈন্যারটেক এলাকায় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। ঘটনার পর স্থানীয়রা নকিবকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাবের হাজী চেয়ারম্যান বাড়ির পার্শ্বে হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের মা ছেনুয়ারা বেগম বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুরে কর্ণফুলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত স্বামী নকিব ভোলা জেলার মজমুদ্দিন থানার লামছি ৭ নম্বর ওয়ার্ড শম্ভুপাড়া খাসের হাট এলাকার মোহাম্মদ শরীফের পুত্র। বর্তমানে তিনি নগরীর পূর্ব বাকলিয়া মহিলা স্কুল সংলগ্ন আবদুল লতিফ হাটখোলা শুক্কুর সওদাগরের কলোনিতে ভাড়া বাসায় থাকেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শাহিন আক্তারের সাথে ২০১৮ সালে ভোলা জেলার জনৈক মো. মুরাদের বিয়ে হয়। দাম্পত্য কলহের জেরে বিয়ের দেড় বছরের মাথায় সে সংসার ভেঙে যায়। সেখানে রাইসা নামে তার তিন বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। পরবর্তীতে শাহিন চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের সৈন্যারটেক এলাকায় বেলামী গার্মেন্টসে চাকরি নেয়। একই ৫ম পৃষ্ঠার ৩য় কলাম
গার্মেন্টসে চাকরি করার সুবাদে দেড় বছর আগে তার সঙ্গে নকিবের পরিচয় হয়। গত ছয় মাস আগে তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে এক সঙ্গে থাকতে শুরু করে।
শাহিনের মা ছেনুয়ারা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকে শাহীনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল স্বামী। যার কারণে তাকে স্বামীর ৫ম পৃষ্ঠার ১ম কলাম
বাসা থেকে নিজের কাছে চরপাথরঘাটায় নিয়ে আসি। এখানে নকিবকে আসতে বারণ করা হলেও গোপনে শাহিনের সাথে দেখা করতে চলে আসত। গত বৃহস্পতিবার এভাবে ঘরে এসে কথা বলার এক পর্যায়ে শাহিনকে গলার উড়না দিয়ে পেছিয়ে ধরে। এতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আশেপাশের লোকজন উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ জানান, পোষাক শ্রমিককে হত্যার ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় আটক স্বামী নকিবকে শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।